স্বাভাবিকভাবেই এটি একটি চাপমূলক পরিস্থিতি। এ সময়ে মানসিকভাবেও সুস্থ থাকা এবং সেইসঙ্গে নিজের ও অন্যদের যত্ন নেওয়াটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
এ সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের ৭২ জন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট স্বেচ্ছায় প্রস্তুত আছেন। আর এই সেবা সহজে সবার কাছে পোঁছানোর দুরূহ কাজটি করছে টেলি সাইকিয়াট্রি রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন নেটওয়ার্কের উদ্ভাবনী এবং সব ধরনের মানসিক স্বাস্থ্যসেবার একটি বিশেষায়িত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘মনের ডাক্তার’।
খুব সহজেই মনের ডাক্তারের ওয়েবসাইট (https://monerdaktar.com) থেকে সরাসরি বা মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করে সেখানে Corona Psychological Care অপশনে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। এখান থেকে পছন্দের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীর সঙ্গে অডিও বা ভিডিও’র মাধ্যমে কথা বলার সুযোগ নিতে পারেন। করোনা পরিস্থিতিতে আপনার শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও জরুরি। তাই ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
এ উপলক্ষে সম্প্রতি একটি অনলাইন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ রেসপন্স টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শরীফ আখতারুজ্জামান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও টিআরআইএনের চেয়ারম্যান ড. মোসাদ্দেক হোসেন কামাল, অধ্যাপক ড. উপমা কবীর, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারপারসন নাজমা খাতুন, অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক কামাল আহমেদ চৌধুরী এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার।
ড. মাহমুদুর রহমানের (বিসিপিএস) সভাপতিত্বে সভায় অনলাইনে সেবাদান এবং গ্রহণের প্রক্রিয়ার ওপর একটি ভিডিও উপস্থাপন করেন টিআরআইএনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. তানজির রশিদ সরণ।
এছাড়া আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিপিএসের কার্যকরী কমিটির সদস্য, টিআরআইএনের পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষকরা। সবাই এই উদ্যোগকে অত্যন্ত যুগোপযোগী বলে অভিমত ব্যক্ত করেন এবং এ তথ্য সবার কাছে পৌঁছে দেবার অঙ্গীকার করেন, যাতে সাধারণ মানুষ এতে উপকৃত হতে পারেন এবং করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষমতা অর্জন করতে পারেন।
বক্তাদের মতে, এই সময়ে মানসিক চাপ, উদ্বেগ, ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা, আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা, নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নানা ভাবনা ঘিরে ধরা খুবই স্বাভাবিক। আর এসব বিষয় কয়েক গুণ বেশি মাত্রায় কাজ করতে পারে তাদের মধ্যে, যারা নিজে করোনা আক্রান্ত বা আক্রান্ত কারও সেবায় সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে হতে পারেন পরিবারের সদস্য, স্বাস্থ্য পেশাজীবী, হাসপাতালের কর্মী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মী অথবা এমন পরিস্থিতিতেও যাদের নিয়মিত বাইরে কাজে যেতে হচ্ছে, তারা। এছাড়াও সর্বসাধারণের জন্যও করোনা বিষয়ক মানসিক সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২০
টিএ