ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘প্রাইভেট গাড়ি চলাচলের অনুমতি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২০
‘প্রাইভেট গাড়ি চলাচলের অনুমতি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত’

ঢাকা: গণপরিবহন বন্ধ রেখে প্রাইভেট গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া সরকারের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ঈদের দু’দিন আগে সারাদেশে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে ঈদযাত্রার অনুমতি দেওয়াকে সরকারের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে দাবি সংগঠনটির।

শনিবার (২৩ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এমন দাবি জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে ঈদুল ফিতরের ঈদযাত্রা ঠেকাতে না পারায় বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়ানো করোনা প্রতিরোধ ও ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণেও সরকার ব্যর্থ হতে পারে।


 
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়ানো করোনা প্রতিরোধের জন্য এবারের ঈদুল ফিতরের ঈদযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছিল সরকার। ক'দিন আগে ঈদে কঠোরভাবে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছিলেন পুলিশ প্রধান। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ঈদের দু’দিন আগে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ রেখে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে ঈদযাত্রার অনুমতি দেয় সরকার।  

‘এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের মালিক অতিরিক্ত মুনাফা আদায়ের জন্য গাড়ি রির্জাভ দেখিয়ে ভাড়ায় চলাচলের অনুমতি দেয়। এতে মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। হাঁকডাক দিয়ে সারাদেশে সড়ক মহাসড়কে গাদাগাদি করে যাত্রী ওঠানামা করছে এই ব্যক্তিগত পরিবহনগুলোতে। এদিকে সারাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলছে। প্রতিদিন লাশের মিছিলে যোগ হচ্ছে বেশ কিছু মানুষ। শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী ও দৌলোদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে সাধারণ মানুষ। ’ 
 
বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনার মহামারিতে যেভাবে ঈদের আমেজ নিয়ে সাধারণ যাত্রীরা প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করে বাড়ি ছুটছে, এতে শতভাগ করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ঈদের আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার বাস চলাচলের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিলাম। সরকার এবারের ঈদযাত্রায় নিরুৎসাহিত করে। কিন্তু এখন সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।  
সামসুদ্দীন চৌধুরী বলেন, যদি শর্তসাপেক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে সীমিত আকারে আন্তঃজেলা বাস চলাচলের অনুমতি দেওয়া হতো তাহলে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে কিছুটা হলেও জনগণকে রক্ষা করা যেত। কিন্তু এখন যেভাবে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করে ঈদযাত্রা চলছে, আমি মনে করি সারাদেশে বিপুলভাবে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে।
 
তিনি আরো বলেন, মুনাফার লোভে এক শ্রেণির প্রাইভেট গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাড়ায় এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াত করছে। এসব চালকরা সড়ক মহাসড়কের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবগত না থাকায় ও অতিরিক্ত ট্রিপ দেওয়ার আশায় বেপরোয়া চলাচলের কারণে সড়ক দুর্ঘটনার আশংকাও রয়েছে। এবারের ঈদযাত্রায় বাড়ি যাওয়া ও ঈদফেরত যাত্রীদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টি নিশ্চিত করার দাবিও করেছে সংগঠনটি।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২০
এসএইচএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।