শনিবার (২৩ মে) সকাল থেকেই তাই কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরিতে রয়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড়। লঞ্চ-স্পিডবোটে গত প্রায় ২ মাস ধরে বন্ধ থাকায় ওই দুইঘাটে বিরাজ করছে ভুতুড়ে নিরবতা।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্র জানায়, নৌরুটে বর্তমানে ১০টি ফেরি নিয়মিত চলাচল করছে। এরমধ্যে রয়েছে তিনটি রোরো, তিনটি ডাম্প, তিনটি কে-টাইপ ও একটি মাঝারি ফেরি। পরিবহনের পাশাপাশি যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে ফেরিতে।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ব্যক্তিগত পরিবহনে বাড়ি ফেরা যাবে এমন সিদ্ধান্ত এলে কদর বেড়ে যায় ভাড়ায় চালিত প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে সাময়িক নিজস্ব পরিবহন বানিয়ে ঢাকা ছাড়ছে অসংখ্য মানুষ।
শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাট দিয়ে বরিশাল যাবেন এমন একটি পরিবারের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, ঢাকা থেকে দুই পরিবার মিলে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করেছেন। আপাতত এটাই তাদের ব্যক্তিগত পরিবহন।
ফেরিতে কর্মরত এক ব্যক্তি জানান, ফেরিতে গাড়ি উঠানোর জন্য উন্মুক্ত করলেই শতশত যাত্রীতে ভরে যায়। তাদের কোনভাবেই নামানো সম্ভব হয় না। ব্যক্তিগত পরিবহনের পাশাপাশি সারাদিনই অসংখ্য যাত্রীরা পদ্মা পার হচ্ছে ফেরিতে।
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক সামসুল আরেফিন বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। সাধারণ যাত্রীদের যথেষ্ট ভিড় রয়েছে ফেরিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২০
এনটি