মার্কেট ও বিপণিবিতানগুলোতে গায়ে গা মিশিয়ে, পায়ে পা লাগিয়ে অবিরাম চলছে কেনাকাটার উৎসব। অন্য বছরের মতো না হলেও মোটামুটি দু’দিনের ব্যবধানেই সেজেছে দোকানগুলো।
শনিবার (২৩ মে) মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। জমে উঠেছে বেচাকেনা। বিক্রেতাদের হাসিমুখই দিচ্ছে তার প্রমাণ। পোশাক এবং মোবাইল ফোনের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় ছিল।
শাপলা মার্কেট, বিক্রমপুর শপিংমল, গন্ধেশ্বরী বস্ত্রালয়, স্টেশন রোডের গীতাশ্রী, মিতালী, রূপালীসহ দোকানের সামনে জনসমাগম দেখা যায়। কোনো ধরনের শারীরিক দূরত্ব মানা হয়নি সেখানে।
এদিকে এসব মার্কেটের অনেক জায়গায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। যদিও মার্কেটের প্রবেশপথে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারও। তবে মানুষের তুলনায় এ ব্যবস্থা অপ্রতুল। করোনার সংক্রমণ রোধে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও কোনো দোকানি বা ক্রেতা তা মানছে না।
ব্যবসায়ী রিপন আহমেদ জানান, তারা পেটের দায়েই দোকান খুলেছেন। দীর্ঘদিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ঈদ সামনে রেখে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করায় সেই ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা হলেও কমিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
তিনি আরো জানান, কাস্টমারদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বলা হয়। কিন্তু তারা সেটা মানেন না।
মৌলভীবাজার জেলার সিভিল সার্জন ডা. তৌহীদ আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, সামাজিক স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঘোরাফেরা বা শপিং করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এখনও কিন্তু করোনা সংক্রমণ সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয়ে যায়নি। এভাবে বিশেষত দূরত্ব বজায় না রেখে চলাফেলা করোনার প্রার্দুভাবকে ভয়াবহ করে তুলতে পারে। তাই এখনই আমাদের অধিক সচেতন হওয়া প্রয়োজন; নয়তো ঘোরতর বিপদ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২০
বিবিবি/এএ