শনিবার (২৩ মে) রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. সাইফুল ইসলাম সানতু জানান, শুক্রবার (২২ মে) আরও ১২১ জন পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এদের মধ্যে ৫৬ জন কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়েছেন এবং বাকিরা ইমপালস হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন।
হাসপাতাল ছাড়ার সময় বরাবরের মতোই করোনা প্রতিরোধের সম্মুখযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, সরকারের আইইডিসিআর-এর চিকিৎসা প্রটোকল অনুযায়ী, এ ১২১ পুলিশ সদস্যদের পরপর দু’বার কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়। টেস্টে দু’বারই কোভিড-১৯ নেগেটিভ হওয়ায় চিকিৎসকরা তাদের করোনামুক্ত ও সুস্থ ঘোষণা করে হাসপাতাল ছাড়ার ছাড়পত্র দেন।
বিশ্বময় মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে জনগণের পাশে আছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। একক পেশা হিসেবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা।
জনগণকে নিরাপদ রাখতে সম্ভাব্য সবকিছু করেই ফ্রন্ট-ফাইটার বা সম্মুখ যোদ্ধা খেতাব পেয়েছেন পুলিশের অকুতোভয় সদস্যরা। আশা করা হচ্ছে সুস্থ হওয়া পুলিশ সদস্যরা পুনরায় ঝাপিয়ে পড়বেন করোনা প্রতিরোধে।
এখন পর্যন্ত করোনাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গ করা ১২ সদস্য হলেন- ডিএমপির কনস্টেবল জালাল উদ্দিন খোকা (৪৭), সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শ্রী রঘুনাথ রায় (৪৮), কনস্টেবল জসিম উদ্দিন (৪০), এএসআই মো. আব্দুল খালেক (৩৬), কনস্টেবল মো. আশেক মাহমুদ (৪৩), উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুলতানুল আরেফিন (৪৪), এসবির এসআই নাজির উদ্দীন (৫৫), এসআই মো. মজিবুর রহমান তালুকদার (৫৬), চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কনস্টেবল মো. নঈমুল হক (৩৮), চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কনস্টেবল মো. মোখলেছুর রহমান, ডিএমপির নায়েক আল মামুনুর রশীদ (৪৩) ও রাজশাহী রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) এসআই মোশাররফ হোসেন (৫৬)।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২০
এমএমআই/আরবি/