কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের দাফন কার্যক্রমের সমন্বয়ক সালেহ আহমেদ বলেন, করোনায় মৃত অনেক ব্যক্তির মরদেহই ফেলে যাচ্ছেন তাদের স্বজনেরা। এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সংগঠনের পক্ষ থেকে করোনায় মৃত ব্যক্তির পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সালেহ আহমেদ আরও বলেন, কোয়ান্টামের পক্ষ থেকে শুধু মুসলিম নয়, হিন্দু ধর্মের কেউ মারা গেলে তার সৎকারের জন্যেও আলাদা টিম কাজ করছে। নারী মরদেহের জন্যে কোয়ান্টামের নারী স্বেচ্ছাসেবী দল রয়েছে। এ পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় ১৩০ জন এবং ঢাকার বাইরে ২০ জন মরদেহের দাফন ও সৎকার করা হয়েছে। এ জন্য ঢাকার ভেতরে ১০২ জন কোয়ান্টামের স্বেচ্ছাসেবক এবং ঢাকার বাইরে ১৮০ জন কাজ করছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাসপাতাল বা বাসায় গিয়ে মৃত ব্যক্তির গোসল, অজু, কাফনের কাপড় পরানোসহ সব কাজ সম্পন্ন করি আমরা। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত বিশেষ ব্যাগে মরদেহ প্যাকেট করে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় সরকার নির্ধারিত কবরস্থানে। সেখানে জানাজা পড়ানো হয়। মরদেহ কবরে রাখার পর তার জন্য আমরা আন্তরিক দোয়া করি।
মরদেহ দাফনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সালেহ আহমেদ বলেন, কবরস্থানে মৃত ব্যক্তির পরিবারের হাতেগোনা কয়েকজন থাকেন। কখনও কখনও কেউই থাকেন না। তবে পুরো প্রক্রিয়ায় স্বজনদের কাছে না পেলে খুব কষ্ট লাগে। পরিবারের যে মানুষটা এতোটা বছর একসঙ্গে ছিলেন সেই মানুষটার শেষযাত্রায় স্বজনদের অনুপস্থিতি সত্যিই কষ্টদায়ক। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে তারা পাশে থাকতে পারেন। কিন্তু স্বজনহীন মানুষটি মৃত্যুর পরেও যখন এতোটা অসহায়, তখন মনে হয় আমরাই তার পরিবারের লোকজন। শেষবারের যাত্রায় আমরা তাকে সেভাবই সম্মানের সঙ্গে বিদায় জানাই।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২০
এসএইচএস/ওএইচ/