রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মোশাররফ হোসেনের গ্রামের বাড়ি পাবনায়।
শুক্রবারই তিনি রামেক হাসপাতালে গিয়ে জানান, তার করোনা পজিটিভ। তিনি অসুস্থ, ভর্তি হতে চান।
তিনি রাজশাহী আরআরএফে (রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স) ছিলেন। অফিশিয়াল পদবী উপ-পরিদর্শক (এসআই সশস্ত্র)। তিনি ডেপুটেশনে নওগাঁয় কর্মরত ছিলেন। সেখানে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) পরীক্ষায় তিনি পজেটিভ শনাক্ত হন। শুক্রবার প্রথমে তিনি পুলিশ লাইন হাসপাতালে যান। সেখান থেকে রামেক হাসপাতাল যান। এর পর বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে তাকে রাজশাহীর খিষ্ট্রিয়ান হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টার ভর্তি করা হয়। রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ১৭ মে তিনি নওগাঁ থেকে রাজশাহীর চণ্ডিপুর ভাড়া বাসায় আসেন। এখানেই অবস্থান করছিলেন।
মৃত্যু হলেও এখন পরীক্ষার জন্য তার আবারও নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলেও জানান, রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক।
নওগাঁর পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া জানান, ১৭ মে থেকে ছুটিতে গিয়ে তিনি বাড়িতে ছিলেন। তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ এসেছে বলে তিনি শুনেছেন। এরপর হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু রাতেই তার মৃত্যু হয়।
এর আগে রাজশাহীর সংক্রামক ব্যাধি (আইডি) হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। যদিও মৃত্যুর পর তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ আসে।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২০
এসএস/জেআইএম