শুক্রবার (২২ মে) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালতে দু’দিনের রিমান্ড শেষে এ স্বীকারোক্তি দেন আসামি কাউসার। এর আগে মঙ্গলবার (১৯ মে) একই ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আসামি সৈকত।
রোববার (১৭ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের সেন্দী গ্রামের একটি ধান ক্ষেত থেকে বস্ত্রহীন অবস্থায় মাহবুবের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত মাহাবুব ওই গ্রামের আশকর আলীর ছেলে।
আদালতে আসামি স্বীকার করেন, তাস খেলা নিয়ে সেদিন রাতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সেই দ্বন্দ্বেই মাহাবুবকে হত্যা করেন সৈকত ও কাউসার।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামি কাউসার আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
নিহতের বড় ভাই আবু হানিফ জানান, তার ভাই বন্দর কওমী মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতেন। ১৭ মে মাহাবুব কয়েকজন ‘খারাপ’ ছেলেদের সঙ্গে খেলাধুলা করলে তার ভাই তৈয়ব শাসন করেন। পরে মাহাবুব রাগ করে বাড়ি থেকে চলে যায়। রাতে ১২টার দিকে তার ভাইকে বস্ত্রহীন অবস্থায় সেন্দী ধান ক্ষেতে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২০
জেআইএম