ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদের আগে এমন শান্ত মহাসড়ক কখনো দেখিনি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২০
ঈদের আগে এমন শান্ত মহাসড়ক কখনো দেখিনি

সিরাজগঞ্জ: উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ। রাজশাহীর ও রংপুর বিভাগের আটটি করে এবং খুলনা বিভাগের পাঁচ জেলার যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ঢাকায় চলাচল করে।

দেশের অন্যতম ব্যস্ত বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কটি দিয়ে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা হাজার হাজার পণ্যবাহী যানবাহন ও গণপরিবহণের যাতায়াত করে। আর ঈদের মতো বড় কোনো উৎসবের এক সপ্তাহ আগে থেকে জনদুর্ভোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কসহ সিরাজগঞ্জের মহাসড়কগুলো।

কিন্তু করোনা মহামারি প্রতিরোধে গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় এ বছরের ঈদে এসব মহাসড়কের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। শুক্রবার (২২ মে) সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের কড্ডার মোড়, নলকা মোড়, হাটিকুমরুল গোলচত্বর, ঘুড়কা বেলতলা, ভুইয়াগাঁতী ও চান্দাইকোনা বাজারে সরেজমিনে ঘুরে শান্ত মহাসড়কের বিরল চিত্র দেখা যায়। এসব রুটে গণপরিবহণ একেবারেই বন্ধ রয়েছে। তবে পণ্যবাহী ট্রাক, লরি ও পিকআপের পাশাপাশি কিছু সংখ্যক প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস চলাচল করছে।

কথা হয় রায়গঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা লিটনের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ এলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট দেখেই আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে এই প্রথম ব্যতিক্রমী ঈদ দেখছি আমরা। গত ১৫ বছরে কোনো ঈদের আগে এমন শান্ত মহাসড়ক কখনো দেখিনি।

আওয়ামী লীগ নেতা আরাফাত রহমান, ভ্যান শ্রমিক আব্দুল হালিম, অটোরিকশা চালক মোস্তফা, সালমানসহ অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে সিরাজগঞ্জের সব রুটে হাজার হাজার যানবাহনের চাপ থাকে। কখনো যানজট আবার কখনো কচ্ছপ গতিতে চলে গাড়িগুলো। উত্তরাঞ্চলগামী মানুষের দুর্ভোগের অন্ত থাকে না এই মহাসড়কে। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় এবার কোনো যানজটও নেই দুর্ভোগও নেই।

ঘুড়কা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান বলেন, সবার মধ্যেই করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে। মানুষের মধ্যে ঈদের কোন আমেজ নেই। তার উপর গণপরিবহণ ও দোকানপাট বন্ধ এবং কড়া পুলিশি টহলের কারণে মানুষ চাইলেও বাইরে বের হতে পারছে না। এ কারণে এবারের ঈদে মহাসড়কগুলো শান্ত দেখা যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ শহীদ আলম বলেন, এবারে একেবারেই স্বাভাবিক রয়েছে মহাসড়ক। মাঝে মধ্যে পণ্যবাহী পরিবহনের কিছুটা চাপ থাকলেও কোনো প্রকার যানজট বা ধীরগতি নেই।

হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া অঞ্চলের পুলিশ সুপার শহীদ উল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, মহাসড়কে গণপরিবহণ একেবারেই নিষিদ্ধ রয়েছে। মালামাল ছাড়া পণ্যবাহী পরিবহনে কোনো প্রকার যাত্রীবহন করার অনুমোদন নেই। ট্রাক বা অন্য কোনো গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মহাসড়কগুলোতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ টহল রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।