তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতাসহ সচেতন মহল। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও শোক প্রকাশ করে সিলেট অঞ্চলের একজন দানবীর মানুষের চলে যাওয়ায় অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন অনেকে।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হলেও শিক্ষার প্রসারে প্রয়োজনীয়তা চিন্তা করে তিনি নিজ অর্থায়নে বহু স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। সর্বপ্রথম ১৯৮৪ সালে হবিগঞ্জ শহরে নিজের মায়ের নামে প্রতিষ্ঠা করেন নীরদাময়ী স্কুল। এরপর মনোনিবেশ করেন কলেজ প্রতিষ্ঠায়। ১৯৯৪ সালে শহর থেকে কিছু দূরে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে আট একর ভূমিতে প্রতিষ্ঠা করেন শচীন্দ লাল ডিগ্রি কলেজ। দুতলা বিশিষ্ট ভবন, সুরমা উদ্যান, বিজয়লক্ষ্মী সরোবর, ছাত্রাবাস এবং মসজিদ নির্মাণ করেন এতে।
তিনি ১৯৯৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিংহগ্রামে বিজয়লক্ষ্মী হাইস্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯২ সালে হবিগঞ্জ রামকৃঞ্চ মিশনে শচীন্দ্র লাল সরকার নামে শিক্ষা বৃত্তি চালু করেন তিনি। এছাড়া ১৯৯৯ সালে শচীন্দ্র কলেজের পাশে শ্রী চৈতন্য সংস্কৃতি মহাবিদ্যালয় স্থাপন করেন।
তার অন্যান্য কাজের মধ্যে রয়েছে ১৯৯৮ সালে হবিগঞ্জ রামকৃঞ্চ মিশন আশ্রমে দূর্গা মন্দির স্থাপন, ১৯৯৬ সালে শ্রীমঙ্গলের রুস্তমপুর গ্রামে শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ জিউড় মন্দির স্থাপন। এরপর ১৯৯৭ সালে তার সমস্ত সম্পত্তি ধর্মসেবা ও গরিবদের সেবায় দেবোত্তর দান করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২০
টিএ