বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার শুক্তাগড় এলাকার নারিকেল বাড়িয়া গ্রামের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রুনা লায়লা উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. কুদ্দুস হোসেনের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে ফোনে রুনা লায়লা তার স্বামীর কাছে বাবার বাড়ি যাওয়ার আবদার করেন। এসময় কুদ্দুস যেতে বারণ করেন। এর কিছুক্ষণ পর কুদ্দুস বাড়ি ফিরে রুনাকে ডাকাডাকি করে না পেয়ে তার কক্ষে গিয়ে স্ত্রীকে ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনি নিজেউ বিষয়টি রাজাপুর থানা পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে, রুনার মা কুলসুম বেগম তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে বিচার চেয়েছেন।
কুলসুম বেগম হত্যা অভিযোগ তুলে বলেন, ‘গরিব বলে কুদ্দুসকে টাকা-পয়সা দিতে না পারায় মেয়েকে প্রায়ই মারধর করতো। বাড়িতে আসতে দিতো না। ঘটনার দিন রুনার সঙ্গে কুদ্দুসের ঝগড়া হয়। পরে রুনা আমাদের বাড়ি আসতে চাইলে তাকে হত্যা করা হয়। আমার হত্যার বিচার চাই। ’
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২০
এমএস/ওএইচ/