শুক্রবার (২২ মে) ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কাঁচপুর, সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়, চিটাগাং রোড মোড়, কাঁচপুর ও মদনপুরের মহাসড়ক ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ঈদের তিনদিন আগে যেখানে দাঁড়ানোর জায়গা হতো না সেখানে পুরো সড়ক এখন ফাঁকা।
তবে প্রতিটি মহাসড়কেই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জের প্রবেশ পথগুলোতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মহাসড়কের প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে পুলিশের ‘নো এন্ট্রি’ চেকপোস্টও। তবে ব্যক্তিগত যানবাহন ব্যবহার করে বাড়ি ফিরতে কোনো বাধা নেই। ভাড়া করা গাড়ি ব্যবহার করে কিংবা দলবেধে গ্রামে ফিরতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এবার চাপ কম, মহাসড়কে কোনো যানজট নেই। একেবারেই স্বাভাবিক রয়েছে সবকিছু।
তিনি জানান, পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের গাড়ি ছাড়া কোনো যানবাহন এখানে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না। মহাসড়কে একেবারেই কঠোর অবস্থান রয়েছে। এ ছাড়া কাঁচপুর এবং মদনপুরে আমাদের বিশেষ 'নো এন্ট্রি' চেকপোস্টেও চলছে কার্যক্রম। তবে, এখানও নানা কৌশলে মানুষ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ত্যাগ করতে চাইছেন। আমরা কোনোভাবেই সেটি অ্যালাউ (সম্মতি) করছি না। শুধুমাত্র সরকারি নির্দেশ মোতাবেক ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে গ্রামে ফিরতে পারছেন ইচ্ছুকরা।
জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মোল্ল্যা তাসনিম হোসেন জানান, মহাসড়ক একেবারেই ফাঁকা, তবে আমরা ব্যক্তিগত গাড়িতে করে বাড়ি ফেরা মানুষকে বিকেলের পর থেকে বাধা দিচ্ছি না। ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া ভাড়া করা গাড়ি কিংবা কোনো পরিবহনে করে বাড়ি ফিরতে পারবেন না কেউ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২০
ওএইচ/