শুক্রবার (২২ মে) সকালের ঘটনা এটি।
শুধু জসিম নন, রাজধানীর গাবতলীতে দাঁড়িয়ে এভাবে যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে রাজধানী ছাড়ছে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত যানের চালকরা।
ব্যক্তিগত ও মাইক্রোবাসে করে ঈদে বাড়ি ফেরা যাবে, বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাতে পুলিশের এমন ঘোষণার পরই এভাবে যাত্রী নিয়ে রিজার্ভ দেখিয়ে ছুটছে গাড়ি।
জানা যায়, পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত প্রতি যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৫শ টাকা করে। প্রাইভেটকারে চারজন যাত্রী, মাইক্রোবাসে ৯/১০ জন, হাইয়েস ১৪ জন করে যাত্রী নিচ্ছে। পাটুরিয়া ঘাটে নেমে যাত্রীরা ফেরি ও স্পিডবোটে করে পদ্মা পার হয়ে অন্য গাড়িতে করে ফিরছেন গ্রামে।
শুধু রাজধানীর গাবতলীই নয়, এভাবে রাজধানীর বিভিন্ন স্পট থেকে যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে কার ও মাইক্রোবাস চালকরা। এছাড়া মোটরসাইকেল, পিকআপ, ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সে করেও বাড়ি ফিরছেন বহু মানুষ।
শুক্রবার রাজধানী থেকে বের হওয়ার সড়কগুলোতে পুলিশের তল্লাশি শিথিল দেখা গেছে। এজন্য কোথাও বের হওয়ার সড়কে যানজট দেখা যায়নি।
রাজধানীর বুড়িগঙ্গা সেতুর ওপার থেকেও লোকাল যাত্রী নিয়ে মাওয়া ঘাটের দিকে যাচ্ছে বহু ব্যক্তিগত গাড়ি। অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ি ঈদের আগে ভাড়ায় দিয়েছেন। বাবু বাজার সেতু থেকে মাওয়া পর্যন্ত যাত্রীপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ৪শ-৫শ টাকা। মাওয়ায় পদ্মা নদী পার হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছেন লোকজন।
রাজধানীর আব্দুল্লাহপুরে যাত্রী ডাকছেন বাইক চালক অনিক। তিনি ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় যাত্রী নিয়ে যান। অনিক জানান, জেলা ভেদে ৫শ-১ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেন। এভাবে অনেকে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায়ও যাত্রী নিয়ে যাচ্ছেন।
যারা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজধানীতে ছিলেন, পুলিশের ঘোষণার পর তারাও বাড়ি ফিরছেন। ফলে করোনার এই সময়ে সংক্রমণ আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।
এর ক'দিন আগে ঈদে কঠোরভাবে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছিলেন পুলিশ প্রধান। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বৃহস্পতিবার কড়াকড়ি শিথিলের কথা জানায় পুলিশ সদর দপ্তর।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২০
টিএম/এএ