শুক্রবার (২২ মে) আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর ও চলমান করোনা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে র্যাব গৃহীত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
র্যাব ডিজি বলেন, এবার একেবারেই ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে আমরা ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছি, যখন প্রত্যেকটি জেলা করোনা আক্রান্ত।
এবার ঈদের দিনে বিনোদনের নামে ঘোরাঘুরির বা কোনো বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনীয় স্থানে জমায়েত করা যাবে না। বিনোদন কেন্দ্র বা দর্শনীয় স্থানগুলোতে র্যাবের নজরদারি থাকবে বলেও জানান তিনি।
র্যাব প্রধান বলেন, আমরা প্রত্যেক বছর খোলা আকাশের নিচে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ আদায় করি। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা মতে মসজিদগুলোতে একটা নির্দিষ্ট সময় বিরতিতে একাধিক ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এই ঈদের নামাজ ঘিরে অন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মতো র্যাবও নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
অন্যবার ঈদের নামাজ ঘিরে অল্প সময়ের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োজন হতো। কিন্তু এবার মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজ হওয়ার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে। সেজন্য মসজিদ কমিটি ও সম্মানিত মুসল্লিদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে আসবেন, নির্ধারিত সময় গ্যাপ দিয়ে দ্বিতীয় বা তৃতীয় জামাতের ব্যবস্থা করবেন।
করোনার সংকটের মধ্যে ঈদের নামাজ ঘিরে কোনো হুমকি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই সংকটময় মুহূর্তে র্যাব তাদের দায়িত্ব পালনে পিছপা হয়নি বরং চলমান যে প্রক্রিয়া সেটা আরও গতিশীল ও ত্বরান্বিত রেখেছে। যে কোনো সন্ত্রাসী, উগ্রবাদী কিংবা জঙ্গি গোষ্ঠীর অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অপতৎপরতা কঠোরভাবে দমন করা হবে। সেজন্য র্যাবের গোয়েন্দা টিম কাজ করছে, নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
উসকানি, নাশকতামূলক ও জঙ্গি অপতৎপরতা বন্ধে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। র্যাবের সাইবার টিম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং করছে। এছাড়া, র্যাবের রিজার্ভ ফোর্স, বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২০
পিএম/এএ