ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনায় আম্পানে সাড়ে ৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২০
খুলনায় আম্পানে সাড়ে ৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

খুলনা: ঘূর্ণিঝড় আম্পানে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় জেলাগুলোতে উপড়ে গেছে বহু গাছ, বিধ্বস্ত হয়েছে কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি। ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলের ক্ষেত। অনেক জায়গায় পোল ভেঙে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

ঝড়ে মহানগরেও অনেক বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে গেছে। গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয় অনেক সড়কে।

পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে খুলনা জেলার ৯টি উপজেলার ৮৩ হাজার ৫৬০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় উপজেলা কয়রা। সেখানে ওয়াবদার বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে গেছে।  
বৃহস্পতিবার (২১ মে) খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দ্দার জানান, খুলনায় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ। ৮৩ হাজার ৫৬০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আম্পানের আঘাতে খুলনার ৯টি উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়ন এলাকায় কম বেশি ক্ষতি হয়েছে। কয়রা ও দাকোপে বাঁধ ভেঙে গেছে।

তিনি বলেন, খুলনায় ২ লাখ ৭ হাজার মানুষ ৮১৪টি সাইক্লোন শেল্টারে বুধবার (২০ মে) রাতে আশ্রয় নেন। ঘূর্ণিঝড়ে কোনো মৃত্যু ঘটেনি।

..কয়রা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মো. জাফর রানা বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় উপজেলা কয়রার ৪টি ইউনিয়নের ৫২টি গ্রাম সম্পূর্ণ এবং আরও ২টি ইউনিয়নের ২৪টি গ্রাম আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২১টি স্থানে বাঁধে ভেঙে গেছে। ৫১ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে ১ লাখ ৮২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন উপজেলার দাকোপ ও বটিয়াঘাটা পরিদর্শন করেন।  

এছাড়া খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য, জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস ও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ঘূর্ণিঝড়-দুর্গতদের খোঁজ-খবর নিতে যান।

হুইপ, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা, ভেঙে যাওয়া ঘর-বাড়ি, বাঁধ, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাসহ ক্ষয়-ক্ষতির সাম্যক ধারণা নেন।  

এসময় ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকটি পরিবারকে ২ বান্ডল ঢেউটিন ও নগদ ছয় হাজার টাকা দেওয়া কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া পরিবারগুলোকে শুকনো খাবার ও অন্য খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, আলু, তেল ইত্যাদি) বিতরণ করা হয়।

..এসময় খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জিয়াউর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং স্ব-স্ব উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২০
এমআরএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।