এদিকে বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকাল থেকে বিভাগের ছয় জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেওয়া মানুষ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। তবে যেসব এলাকা এখনো প্লাবিত অবস্থায় রয়েছে, সেখানকার মানুষজন অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রেই অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রশিদ।
ফসলি ক্ষেতের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব না পাওয়া গেলেও বেশকিছু এলাকায় গাছপালা উপরে পড়া এবং কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া, বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে নদীর তীরবর্তী বেশকিছু বসতি এলাকা ও কৃষিজমি প্লাবিত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
অপরদিকে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় চাষিদের মাছের ঘের ও পুকুর তলিয়ে গেছে। পানির চাপে অনেকের ঘেরের সীমানা ভেঙে প্লাবিত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চাষিরা।
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বাসিন্দা রুবেল হাওলাদার জানান, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তাদের মাছের ঘেরে প্রথম পার্শ্ববর্তী খালের পানি প্রবেশ করে। এরপর পানির চাপে ঘেরের সীমানা বা পাড় ভেঙে যায়। এতে ঘেরের সব মাছ বের হয়ে যায়।
এদিকে নদ-নদীর পানিও সকাল থেকে কমতে শুরু করেছে। বরিশাল জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বরিশালের কীর্তনখোলা, বুড়িশ্বর, ধর্মগঞ্চ ও নয়াভাঙ্গুলি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২০
এমএস/এফএম