প্রাণঘাতী ভাইরাসটির বিস্তার রোধে কার্যত লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ায় গ্রামের বাড়ি যেতে মানুষের মধ্যে যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। যদিও ঈদের আগে কঠোরভাবে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কথা বলছে পুলিশ।
গণপরিবহন না চললেও অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার ভাড়া করে মানুষ ছুটছে গ্রামের দিকে। এছাড়াও পিকআপ, ভ্যান ও ট্রাকেও ঢাকা ছাড়ছে বহু মানুষ। ঢাকার প্রবেশপথগুলোর কয়েকটি ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
গুলিস্তান, গাবতলী, আব্দুল্লাহপুর ও কাঁচপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জনস্রোত লেগে আছে। রাজধানী থেকে বের হওয়ার যানবাহনের দীর্ঘ সারি। মূলত মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকজন গাড়ি রিজার্ভ করে রাজধানী ছাড়ছেন। এছাড়াও রামপুরা থেকে ডেমরাগামী সড়কে বাড়ি ফেরা যানবাহনের চাপে দিনভর যানজট লেগে থাকে।
ঠিক একইভাবে রাতে গাবতলী, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাক ও ভ্যানে করেও রাজধানী ছাড়ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। পোস্তগোলা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া ও সুলতানা কামাল সেতুর প্রবেশপথ, উত্তরার আজমপুর, ৩০০ ফুট সড়ক ও মিরপুরের গাবতলী-আমিনবাজার ব্রিজ সংলগ্ন পথে পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও প্রচুর মানুষ ঢাকা ছেড়ে গেছে।
ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি ভাড়ায় চালিত বাইকে করেও অনেকে দূর-দূরান্তের জেলায় যাচ্ছেন। গাবতলী থেকে ১২০০ টাকায় এভাবে নড়াইল যাচ্ছেন আসাদ নামে এক ব্যক্তি। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গাবতলী থেকে অনেক বাইক যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন জেলায় যায়।
অন্যদিকে, ঈদ সামনে রেখে রাজধানীর সড়কগুলোতেও যানবাহন ও মানুষের চলাচল আগের মতোই বেড়েছে। প্রতিদিন দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী আর মৃত্যু বাড়তে থাকলেও মানুষের মধ্যে তা যেন কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে না। ঘরে থাকা ও শারীরিক দূরত্ব মানার পরিবর্তে শুরু হয়েছে অবাধ চলাচল।
দেখা গেছে, নানা কৌশলে লোকজন ঢাকা থেকে বের হতে চাইছেন। অটোরিকশা বা মোটরসাইকেলেও ছুটছে মানুষ। পুলিশকে ফাঁকি দিতে হেঁটে চেকপোস্ট পার হয়ে উঠছে মানুষ।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা রোধে তারা ঈদের ছুটির মধ্যে মানুষের যাতায়াত একেবারেই সীমিত রাখতে চান। ছুটির মধ্যেও কড়াকড়ি অবস্থানে থাকবে পুলিশ।
ট্রাফিক পুলিশের সদস্য ইমরান হাসান বাংলানিউজকে বলেন, নানা অজুহাতে লোকজন ঢাকা ছাড়ার চেষ্টা করছে। তবে আমরা তল্লাশি বাড়িয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২০
টিএম/টিএ