পাওয়া বরাদ্দ প্রসঙ্গে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ১০০ টন চাল, ৪ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ফেনী জেলার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ঘুর্ণিঝড়ে প্রস্তুতি বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবপর্যায়ে মিটিং সম্পন্ন হয়েছে।
ফেনীর উপকূলীয় অঞ্চল সোনাগাজীতে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে বলে জানান সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অজিত দেব।
প্রস্তুতির বিষয়ে ইউএনও বলেন, উপজেলার ৫৬টি সাইক্লোন শেল্টারের ব্যবহার উপযোগী ৫২টি আশ্রয়দানের প্রস্তুতি চলছে। তবে উপকূলীয় চার ইউনিয়ন চর দরবেশ, চর চান্দিয়া, সদর ও আমিরাবাদে ২৫টি সাইক্লোন শেল্টার ও ৩৩টি স্কুল ঘর প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সব মিলে ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেওয়া যাবে। তবে করোনার কারণে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতে সোনাগাজী পৌর এলাকায় শেল্টারেও মানুষজন সরিয়ে আনতে হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।
তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবী সিপিপির টিম সব ইউনিয়নে প্রস্তুত রয়েছে। ১১টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। ১০ হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় 'আম্ফান' পরিস্থিতি মোকাবিলায় দাগনভূঞা উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা ও করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধকল্পে উপজেলা রেসপন্স কমিটির জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান বলেন, ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও ওয়ার্ড কমিটিকে দ্রুত সভা করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফেনীর উপ-পরিচালক তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে ফেনীতে ৯০ শতাংশ ধান কেটে ঘরে তোলা হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ ধান দুর্যোগের পরে ঘরে তোলা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
এসএইচডি/আরবি/