ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাজশাহীতে জনসমাগম ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫১ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
রাজশাহীতে জনসমাগম ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন রাজশাহীতে সকাল থেকে সড়ক ফাঁকা, কঠোর অবস্থানে প্রশাসন।

রাজশাহী: রাজশাহীতে জনসমাগম ঠেকাতে অবশেষে কঠোর অবস্থানে গেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। মঙ্গলবার (১৯ মে) সকাল থেকে সড়ক ফাঁকা করে ফেলা হয়েছে। কাঁচাবাজার, খাবার ও ওষুধের দোকান ছাড়া কোনো বিপণিবিতান ও দোকানপাট খুলতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া সড়কে অটোরিকশাসহ কোনো ধরনের যানবাহনও চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা একযোগে কাজ করছেন।

সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে রাজশাহী মহানগর ও উপজেলার সড়কে জেলা প্রশাসনের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সদস্যরা প্রতিটি মার্কেটে টহল দিচ্ছেন।

সকালে আরডি মার্কেটের ভেতরে রাজ্জাক বস্ত্রালয় নামে কাপড়ের একটি দোকান খুলে বিক্রির অপরাধে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রাজশাহীতে কাঁচাবাজার, খাবার ও ওষুধের দোকান ছাড়া বিপণিবিতান ও সব ধরনের দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। গত ১০ মে থেকে বিভিন্ন বিপণিবিতান ও দোকানপাটগুলোতে হঠাৎ করে জনসমাগম বাড়ায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সোমবার (১৮ মে) বিকেলে জেলা কোর কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল থেকে মহানগর এলাকাসহ জেলা ও উপজেলায় সব ধরনের মার্কেট, শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধ রাখা হবে। তবে কৃষিপণ্য, কাঁচাবাজার, ওষুধ  ও খাবারের দোকান এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। গতকালই মহানগর এলাকা ও উপজেলা পর্যায়ে মাইকিং করে মানুষকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত মঙ্গলবার থেকে নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছেন। জনসমাগম বাড়ায় বাধ্য হয়ে এ কঠোরতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। ’

এর আগে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ও জনস্বার্থে ঈদ পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরীর সব বিপণিবিতান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। গত শুক্রবার (১৫ মে) বিকেলে নগর ভবনে মেয়র দপ্তরকক্ষে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে চেম্বার অব কর্মাস ও ব্যবসায়িক নেতাদের এক বৈঠকে সবার সম্মতিক্রমে সম্মিলিতভাবে এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় রাজশাহীর সব বিপণিবিতানের দোকান-কর্মচারীদের সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মহানগরীতে জমে উঠেছিল ঈদবাজার। লকডাউন ভেঙে উপজেলা পর্যায় থেকে প্রতিদিন মানুষ কেনাকাটা করতে শহরে আসছিলেন।

প্রতিদিন সকাল থেকেই মহানগরীতে মানুষ ও যানবাহনের ভিড়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার ঝুঁকিতে পড়েন রাজশাহীবাসী। ফলে কঠোর অবস্থানে গেলো রাজশাহী জেলা প্রশাসন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
এসএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।