তবে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তেমন কোনো প্রভাব নেই খুলনা ও দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলায়।
মঙ্গলবার (১৯ মে) সকাল থেকে আকাশ সামান্য মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (নৌ) মো. নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের মোংলায় কোনো প্রভাব নেই।
তবে মোংলা বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দরে ১১টি জাহাজ নোঙর করে রাখা হয়েছে। পণ্যবোঝাই খালাস বন্ধ করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় উপকূলীয় তিন জেলা খুলনায় ৩৬১টি, বাগেরহাটে ৩৩৪টি ও সাতক্ষীরা জেলায় ৪৪৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে তিন জেলা প্রশাসন থেকে জানা গেছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুপার সাইক্লোন আম্পানের কোনো প্রভাব নেই খুলনাঞ্চলে। তবে আকাশে কিছু মেঘ জমেছে। বুধবার (২০ মে) আম্পানের প্রভাব পড়বে এ অঞ্চলে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে উপকূলের উপজেলাসমূহের লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং চলছে। খুলনা সিভিল সার্জন অফিস ৯টি উপজেলায় ১১৬টি মেডিক্যাল টিম গঠন করেছে।
খুলনার জেলা প্রশাসক মো. হেলাল হোসেন জানিয়েছেন, সুপার সাইক্লোন আম্পানে জান মালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে খুলনায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে ইফতার ও সেহরির ব্যবস্থা থাকবে। সাইক্লোন প্রিপার্ডনেস প্রোগ্রাম (সিপিপি) এর দুই হাজার ৪৬০ জন এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার এক হাজার ১০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশুদ্ধ খাবার পানি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে। সে কারণে উপকূলীয় কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটা উপজেলার সব স্কুল-কলেজকে সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর চাবি সংগ্রহ করে ইউনিয়ন পরিষদের সচিবদের কাছে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
এমআরএম/এএটি