সোমবার (১৮ মে) বিকেলে বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান জেলা কারাগারারের জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ।
তিনি জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে আমরা প্রতিবছর বন্দিদের সঙ্গে আত্মীয়দের বিশেষ সাক্ষাতের সুযোগ ও তাদের রান্না করা খাবার বন্দিদের দিয়ে থাকি।
তিনি জানান, ঈদের দিন সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে প্রতিটি ভবনের বন্দি ব্যারাকের মধ্যে শুধুমাত্র ওই ভবনের বন্দিদের ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সকালে মুড়ি পায়েস, দুপুরে পোলাও, মাংস, মুরগির রোস্ট, কোল্ড ড্রিংকস ও পান সুপারি দেওয়া হবে। সন্ধ্যায় দেওয়া হবে ভাত মাছ ও সবজি।
জেল সুপার আরো জানান, এ বছর করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারাগারে এখন বন্দি সংখ্যা প্রায় ১৭শ। এ ছাড়া কারাগারে কর্মরত প্রায় ৩শ কারারক্ষীসহ কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছেন। ইতোমধ্যে কারাগারে এক কারারক্ষী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে রয়েছেন। তাই বিশেষ সতর্কতার অংশ হিসেবেই বন্দি সাক্ষাৎ বন্ধ করা হয়েছে। তবে ঈদে টেলিফোনের মাধ্যমে কারাগারের নির্ধারিত বুথ থেকে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন বন্দিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২০
এএটি