ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফেনীতে করোনায় ২ জনের মৃত্যু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২০
ফেনীতে করোনায় ২ জনের মৃত্যু

ফেনী: ফেনীতে উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হওয়া দুই ব্যক্তির করোনা ভাইরাস পজেটিভ এসেছে। এদের মধ্যে একজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। জেলার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ প্রথম জেলায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, শনিবার (১৬ মে) রাতে দুই দফায় ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন আসে। এদের মধ্যে চিকিৎসক-পুলিশ ছাড়াও দুইজন মৃত ব্যক্তি রয়েছেন।

এদের একজনের বাড়ি সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের বিজয়সিংহ ও অপরজন সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মজুপুরে।

সূত্র আরও জানায়, পশ্চিম বিজয়সিংহ গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ নারী শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত সোমবার সকালে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। ওইদিন রাত ৯টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরদিন সকালে নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরীন সুলতানা জানান, করোনা পজেটিভ আসা ওই নারীর বাড়ি লকডাউন করা হচ্ছে।

অপরদিকে সোনাগাজী উপজেলা স্বান্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উৎপল দাস জানান, উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মজুপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ প্রোভাইডর দীর্ঘদিন লিভার ক্যান্সার, ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। গত প্রায় একমাস তিনি ছুটি নিয়ে রাজধানীর ইবনেসিনা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ মে তিনি মারা যান। করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হলে পজেটিভ আসে।

তিনি আরও জানান, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে মতিগঞ্জ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রবিউজ্জামান বাবু ও নবাবপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে দুই বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মানিক জানান, লকডাউন হওয়া পরিবারগুলোকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে খাদ্য সরবরাহ করা হবে।

জেলার সদর উপজেলায় ২২ জন, পরশুরামে চারজন, ছাগলনাইয়ায় ১৩ জন, দাগনভূঞায় নয়জন, সোনাগাজী উপজেলায় ছয়জন ও ফুলগাজী উপজেলায় চারজন আক্রান্ত হয়েছেন। পার্শ্ববর্তী উপজেলা মিরসরাই্, চৌদ্দগ্রাম ও সেনবাগের তিন বাসিন্দা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা করলে পজেটিভ আসে। ইতোমধ্যে আটজন সুস্থ ও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

এ পর্যন্ত এক হাজার ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ও নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। শনিবার পর্যন্ত ৮৭৪ জনের ফলাফল পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২০
এসএইচডি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।