তিনি নিজে ফোন পেয়ে বাড়িতে গিয়ে মরদেহ এনে গোসল করিয়ে দাফন করেছেন। অনেক হিন্দু পরিবারে মুখাগ্নি করার মতো কাউকে না পেয়ে নিজে মুসলিম হয়েও করেছেন মুখাগ্নি, সৎকার।
খোরশেদ জানিয়েছেন, এমনও অনেক পরিবার রয়েছে যেখান থেকে এখনও জানতে চাওয়া হয়নি প্রিয়জনের মরদেহটি কোথায় কবর দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৭ মে) বিকেলে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে এমন তথ্য জানান নাসিকের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর খোরশেদ।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত মোট দাফন বা সৎকারের সংখ্যা ৪৬টি। এরমধ্যে করোনায় পজিটিভ হয়ে মারা গেছেন ১৫ জন। যাদের মরদেহ হাসপাতাল ও বাড়ি থেকে পরিবারের অনুরোধে এনে দাফন বা সৎকার করা হয়েছে। স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল ৫টি। এছাড়া ২৬ জন করোনার বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এদের পরিবারের অনুরোধে মরদেহ এনে দাফন বা সৎকার করা হয়েছে।
খোরশেদ জানান, এদের মধ্যে জামতলা এলাকার এক ব্যক্তির মরদেহ পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে দাফন করি প্রথম দিকে। যে ঘরে মরদেহটি পড়ে ছিল সেই ঘরেও কেউ যাচ্ছিলেন না বরং বলছিলেন বিছানার চাদরসহ নিয়ে যান। আজ পর্যন্ত তারা একটি ফোন দিয়ে খবর নেয়নি তাদের আপনজন কিংবা বাবা, কিংবা স্বামীর মরদেহটি কোথায় দাফন করা হয়েছে। ভাবতেও অবাক লাগে এ লোকটি ছিল এতদিন এ পরিবারের মধ্যমণি। এ রকম আরও রয়েছে যারা এখনো আপনজনের মরদেহ কোথায় কীভাবে দাফন হয়েছে, কোথায় কবর রয়েছে জানতেও চাননি।
প্রতিটি কবরে চিহ্ন রাখার চেষ্টা করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি মরদেহের কবরেই চিহ্ন রাখতে চেষ্টা করছি, যেন আপনজনের কবর খোঁজ করলে খুঁজে পেতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২০
আরবি/