মার্কেটের বিভিন্ন দোকানের সামনে সাবান, পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার জন্য প্রশাসন কর্তৃক নির্দেশনা থাকলেও কোনো নিয়মই মানছেন না ব্যবসায়ীরা।
যেখানে শিশুসহ বয়স্কদের বাজার ও জনসমাগমে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল সেখানে ক্রেতারা শিশুসন্তান ও বয়স্কদের নিয়ে বাজারে প্রবেশ করছেন।
এদিকে গত দেড় মাসে পঞ্চগড় জেলার পাঁচ উপজেলায় মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে নারীসহ ১৯ জন। তবে এদের মধ্যে অধীকাংশই ঢাকা ফেরত বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
জেলার সচেতন মহলের লোকজন বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে পঞ্চগড়ে করোনা আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এখনি যদি করোনা মোকাবিলায় নতুন করে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয় তবে ঘরে ঘরে বাড়বে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
সরেজমিনে শনিবার (১৬ মে) শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়।
এসময় কাপড় ক্রয় করতে আসা শহরের ধাক্কামারা এলাকার জুয়েল ও হাড়িভাসা এলাকার নাঈম হাসান বাংলানিউজকে বলেন, পরিবারের চাহিদা মত কিছু কাপড় কিনতে এসেছি। তবে বাজারে প্রচুর লোকের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে তো ঝুঁকি বেড়ে যাবে মনে হচ্ছে।
পঞ্চগড় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট বাংলানিউজকে জানান, করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করার পর থেকে আমরা বিভিন্ন ভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। কিন্তু কয়েকদিন থেকে লক্ষ্য করছি হাট-বাজার মার্কেট খুলে দেওয়ার কারণে ঈদ উপলক্ষে এখন জনসমাগম বেড়ে গেছে। শারীরিক দূরত্ব যারা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
পঞ্চগড় পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বাংলানিউজকে জানান, শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য আমরা ব্যবসায়ীক ও দোকান মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি, সঙ্গে আমরা নতুন নির্দেশনা ঘোষণা দিয়েছি। এ নির্দেশনাগুলো যেমন: বাজারে ঢোকার আগে ক্রেতারা হাত ধুবে, মাস্ক ব্যবহার করবে। দোকান মালিক সমিতি স্বেচ্ছাসেবক রাখবে। স্বেচ্ছাসেবক বাজারে মাস্ক ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেবে না। বাজারে ঢোকার জন্য ওয়ান ওয়ে করে দিবে।
এদিকে শনিবার (১৬ মে) সকাল থেকে আমাদের পুলিশ অফিসার ও ফোর্সরা বাজার পরিদর্শন করছে। যদি কেউ এ আইন অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘন্টা, মে ১৬, ২০২০
আরএ