ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাদারীপুরে ঈদের মার্কেটে উপচে পড়া ভিড়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২০
মাদারীপুরে ঈদের মার্কেটে উপচে পড়া ভিড়

মাদারীপুর: ঈদকে সামনে রেখে নতুন পোশাক কিনতে ভিড় বেড়েছে দোকানগুলোতে। জেলা-উপজেলা শহরের বিপনীবিতানগুলোর পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ের গ্রাম্য বাজারের দোকানগুলোতেও রয়েছে উপচে পড়া ভিড়।

শারীরিক বা নিরাপদ কোনো দূরত্ব মানার অবকাশ যেন নেই ক্রেতাদের মধ্যে। বিক্রেতাদের অনেকের মুখেই নেই মাস্ক।

হাত ধোয়ার জন্যও নেই কোনো ব্যবস্থা। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলছে কেনাবেচা।

সরেজিমনে শিবচরের সূর্যনগর, পাঁচ্চরসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, বাজারের তৈরি পোশাক, দর্জির দোকান, শাড়ি কাপড়, জুতা স্যান্ডেল ও কসমেটিকসের দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ধাক্কাধাক্কি করেও পণ্য কিনছেন ক্রেতারা। এদিকে করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে ‘দোকান বন্ধ হয়ে যাবে’ এমন কথা বলে দ্রুত কেনাবেচা করছে বিক্রেতারা। একটি দোকানে অল্প সময় দাঁড়িয়ে প্রায় কোনো দরদাম ছাড়াই জামা-কাপড় কিনতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। বাজারঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের অধিকাংশেরই কোনো মাস্ক নেই। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে নারী ক্রেতাদের চাপ দোকানগুলোতে সবচেয়ে বেশি।

হামিদা আক্তার নামের এক ক্রেতা বলেন, দোকানপাট নাকি সব বন্ধ হয়ে যাবে শুনতেছি। এজন্য তাড়াতাড়ি করে কেনাকাটা করতে এসেছি। বাচ্চাদের তো নতুন জামাকাপড় দিতে হবে ঈদে।

এভাবে মার্কেটে বিচরণ করলে তো করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই তো আসতাছে। কেউ তো আর মার্কেট করা বাদ দেয় নাই। বাচ্চারা কান্নাকাটি করে।

শাহিনা আক্তার নামের এক কলেজছাত্রী বলেন, ভেবেছিলাম খুব একটা ভিড় হবে না। কিন্তু এবারের চিত্র তো সম্পূর্ন ভিন্ন। গ্রামের বাজারের পোশাকের দোকানের প্রচুর ডিম্যান্ড দেখছি। দোকানগুলোতে ভিড় দেখে ফিরে যাচ্ছি। ঝুঁকি নিতে চাই না।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনার কারণে ব্যবসা এতো দিন প্রায় বন্ধই ছিল। ঈদকে সামনে রেখে খোলার সুযোগ পাচ্ছি। ক্রেতারাও আসছে অনেক। এত মানুষের জন্য তো স্বাস্থ্যবিধি মানা কষ্টকর। তবে আমরা মাস্ক ব্যবহার করি। ক্রেতাদের মাস্ক পড়ে আসতে বলি।

অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, দোকানে বেশি ভিড় করতে দেই না। পছন্দ না হলে ক্রেতাদের দ্রুত দোকান ত্যাগ করতে বলি। তাছাড়া এবার সামান্য লাভ হলেই বিক্রি করে দিচ্ছি।

দর্জি দোকানি আলমাছ মিয়া বলেন, এবার জামাকাপড় বানানোর অর্ডার খুব কম। কিছু থ্রি-পিচ বানানোর অর্ডার এসেছে। তবে তৈরি পোশাকের মধ্যে শাড়িকাপড় আর রেডিমেট থ্রি-পিচ বেশি বিক্রি হচ্ছে। একারণেই দর্জিদের তেমন চাপ নেই এ ঈদে।

স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা বলেন, লকডাউনের কারণে সড়ক-মহাসড়কে পরিবহন চলে না। আগে যেখানে ফরিদপুর-ভাঙ্গা এমনকি অনেকে ঢাকাও যেতো। এবার সেই সুযোগটা নাই। ফলে বাড়ির আশেপাশের বাজারগুলোতে ভিড় বেড়েছে এবার।

শিবচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান জানান, দোকানে নিরাপদ দূরত্ব মেনে কেনাবেচা করার জন্য দোকানদারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণে আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া, শনিবার থেকে কাঁচা বাজার ও মুদি দোকান সকাল ৭টা থেকে ১১টা এবং অন্য দোকান সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলার রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে করে ভিড় না হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, মে ১৫,২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।