মঙ্গলবার (১২ মে) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধন থেকে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ নেতারা বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণে মানুষ দুর্বিষহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।
নেতারা বলেন, আমরা স্কপের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে বলতে চাই শ্রমিকদের বোনাস নিয়ে কোনো ধরনের তালবাহানা চলবে না, ২০ রমজানের মধ্যেই শ্রমিকদের চলতি মাসের অর্ধেক মজুরি এবং বোনাস দেওয়া হবে। শ্রমিকদের বেতন বোনাস নিয়ে তালবাহানা কোনো শ্রমিক কর্মচারী মানবে না। আমরা শ্রমিকরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই, মজুরি আদায়ের লড়াই, শ্রমিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই একসঙ্গে চালিয়ে যাবো।
নেতারা আরও বলেন, সাধারণ ছুটিতে কারখানা বন্ধ থাকলেও গার্মেন্টসের শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য সরকার মালিকদের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যকেজ দিয়েছে। তা সত্ত্বেও শ্রমিকদের কত শতাংশ মজুরি দেওয়া হবে তা নিয়ে বিতর্ক ও কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। যা শ্রমিকদের মধ্যে অনিশ্চয়তা ও অসন্তোষ বাড়িয়ে দিচ্ছে। গার্মেন্টসের বাইরেও আছে রি-রোলিং ও স্টিল মিল শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, নৌ-যান শ্রমিক, চা-শ্রমিক, গৃহকর্মী, সেলুনকর্মী, হোটেল-রেস্তোরাঁর কর্মী, হস্তশিল্পী, ছাপা-মুদ্রণ ও বাঁধাই শ্রমিক, স্বর্ণকার, দর্জিশ্রমিক, হকার, দোকানকর্মচারীসহ অনেক খাতের শ্রমিক যার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫ কোটি।
উপরোক্ত দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়িত না করলে শ্রমিকদের বিক্ষোভ চরম রূপ নেওয়ার আশঙ্কা আছে যার দায়িত্ব সরকার ও মালিককে নিতে হবে বলেও মানববন্ধন থেকে বলা হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি স্কপের যুগ্ম সমন্বয়কারী শ্রমিক নেতা ফজলুল হক মন্টু, জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুল আহসান, ট্রেড ইউনিয়ন সঙ্ঘের সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমান, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের দপ্তর সম্পাদক সাহিদা পারভিন শিখা, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের অর্থ সম্পাদক কাজী রুহুল আমিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২০
আরকেআর/এএটি