সোমবার (১১ মে) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আতিয়ার রহমান অভয়নগর উপজেলার মোয়াল্লেমতলা গ্রামের বাসিন্দা।
অভয়নগর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে প্রতিপক্ষ তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আতাইককে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় দুবৃর্ত্তরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার মৃত্যু হয়। খুলনার ফুলতলা উপজেলার উত্তর ডিহি, পায়গ্রাম কসবা, ফুলতলা বাজার এলাকায় আতাই ও তার শ্যালক গিয়াস উদ্দীন চরমপন্থি দলের সক্রিয় সদস্য ছিল। গিয়াস উদ্দীন একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিত। ২০১৪ সালে আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গিয়াস উদ্দীন গ্রুপের হাতে প্রতিপক্ষ চরমপন্থি নিশান খুন হয়।
নিশান হত্যায় তার পরিবারের কেউ মামলা না করায় অভয়নগর থানা পুলিশ গিয়াস উদ্দীন, আতাইকসহ অন্যান্য আসামিদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার পর গিয়াস উদ্দীন ও আতাইক ভারতে পালিয়ে যায়। সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে নিশান হত্যা মামলাটি খারিজ হলে আতাইক প্রায় এক বছর আগে দেশে ফিরে আসেন এবং জেজেআই জুটমিলে বদলী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। নিশান হত্যার প্রতিশোধ নিতে শেখ আতাইকে খুন করা হতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আতাইক হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন এবং খুনিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২০
ইউজি/এএটি