দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৫ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে পুনরায় ট্রেন চলাচল চালু করা যায়, তা নিয়ে ইতোমধ্যে স্টেশনগুলোতেও প্রস্তুতি চলছে।
এরই অংশ হিসেবে রাজশাহী রেল স্টেশনে টিকিট কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গোল গোল করে বৃত্ত করে দেওয়া হয়েছে। ট্রেন চালু হলে যাতে করে স্টেশনে আসা যাত্রীরা টিকিট কাটার জন্য তিন ফুট দূরত্বে অবস্থান করতে পারেন, সেজন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে ট্রেনের ভেতর শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ৭০-৭৫ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করা হবে। সেই অনুসারে টিকিটও বিক্রি করা হবে।
সম্প্রতি রেলওয়ে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও-ঢাকা) মো. শওকত জামিল মোহসীন স্বাক্ষরিত বিভিন্ন স্টেশনে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী নভেল করোনা ভাইরাসের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনের শর্তে ঈদুল ফিতরের আগে সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচলের অনুমতি আসতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, অনবোর্ড পরিচালিত ট্রেনগুলোর দরজা-জানালা, হাতল, সিট, হেড বেল্ট কাভার, টয়লেট, মেঝে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানকে খাবার গাড়ি সুষ্ঠুভাবে পরিচ্ছন্ন করে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে মানসম্মত খাবার পরিবেশন করতে হবে।
এছাড়া ট্রেনে ভ্রমণকালে প্রত্যেক যাত্রীকে আবশ্যিকভাবে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহারে স্টেশনগুলোর মাইকে ঘন ঘন ঘোষণা দিতে হবে, বড় অক্ষরে লিখে সাঁটিয়ে দিতে হবে কাউন্টারের সামনে। ইস্যু করা টিকিটের ওপর ‘ট্রেনে ভ্রমণকালে প্রত্যেক যাত্রীকে আবশ্যিকভাবে মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে’ মোটা সিল মেরে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। সর্বোপরি স্টেশনের দায়িত্ব পালনকালে প্রত্যেক কর্মচারীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
এ বিষয়ে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বাংলানিউজকে বলেন, পণ্যবাহী ট্রেন তো চলছে, সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পার্সেল ট্রেন।
যাত্রীবাহী ট্রেনের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের ব্যাপারে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত হলে আপনারা জানতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২০
টিএম/এএ