গত শুক্রবার (৮ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর দিন শনিবার (৯ মে) বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দুইজনকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর রোববার (১০ মে) আরও ১৪ জন বন্দি মুক্তি পেয়েছেন।
বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রথম দফায় গত ২ মে তিনজন, ৩ মে সাতজনকে বিশেষ ক্ষমতায় মুক্তি দেওয়া হয় বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে।
দ্বিতীয় দফায় গত শুক্রবার আরও ৩৮ জনের মুক্তির নির্দেশ আসে। এর মধ্যে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পাওয়ার আগেই ১০ জন জামিনে মুক্তি পান। ২৮ জনের মধ্যে গত শনিবার দু্ইজন ও রোববার জরিমানার টাকা পরিশোধ করে মুক্তি পেয়েছেন আরও ১৪ জন। বাকী ১২ জন জরিমানার টাকা পরিশোধ সাপেক্ষে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন।
এদিকে কারাগার সূ্ত্রে জানা গেছে, করোনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে তিন ক্যাটাগরিতে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের ২৪২ জন বন্দিকে মুক্তির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছিল। এরমধ্যে ৭৩ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রয়েছেন। যাদের অন্তত ২০ বছর সাজা ভোগ করা হয়ে গেছে। অপর দুই ক্যাটাগরিভুক্তরা হলো হাজতি ও লঘুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি।
৬৩৩ জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে প্রায় ১৩০০ বন্দি রয়েছেন। এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি সিদ্ধান্তে ঝালকাঠি কারাগার থেকেও ৬ কয়েদির মুক্তি মিলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২০
এমএস/আরবি/