সম্প্রতি জিকে সেচ প্রকল্পের ধারে থাকা ৫টি আকাশমনি, বেশ কিছু শিশুসহ মূল্যবান গাছ বিক্রি করে এলাকায় বেশ সমালোচনার ঝড় উঠেছে ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মালিহাদ ইউনিয়নের গোপীনাথপুর এলাকার রেজাউল হক।
সরেজমিনে গিয়ে এ অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া যায়। জিকে সেচ প্রকল্পের মালিহাদস্থ আর-২জি সুইচ গেট এলাকায় বেশ কিছু কাটা গাছের গুড়ি পড়ে আছে।
এ ব্যাপারে গাছ ক্রেতা শাহাদত আলী জানান, রেজাউল হক গাছ বিক্রির করার কথা বললে। তিনি লোক দিয়ে কেটে এনেছিলেন। তিনি ২০টি গাছ ৩৭ হাজার টাকায় কিনেছেন। এর মধ্যে ভেটুল আর কদম গাছ ছিলো।
মজনু নামের আরেক ক্রেতা জানান, যারা গাছ লাগিয়েছিলো সেই সমিতিই গাছ কেটেছিলো। কার গাছ আমি সেটা বলতে পারবো না। আমি রেজাউলের কাছ থেকে ৫টি আকাশমনি গাছ কিনেছি।
জানা যায়, জিকে সেচ প্রকেল্পর আর-২জি গেট সংলগ্ন ৫টি আকাশমনি গাছসহ বেশ কিছু গাছের টেন্ডার হয় ৫টি সমিতির মাধ্যমে। তবে সমিতির গাছ ছাড়াও অতিরিক্ত গাছ বিক্রি করেছে রেজাউল এমনটি দাবি স্থানীয়দের।
জিকে সিটিজি সমিতির কোষাধ্যাক্ষ মুরাদ আলী জানান, আমাদের কৃষকদের যখন পানি দরকার তখন তখন পানি দেয় না রেজাউল। সে পানি চালু ও বন্ধ করা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এছাড়া পানি আটকে রেখে জেলেদের দিয়ে মাছ ধরায় সে।
মুরাদ আলী অভিযোগ করেন, সরকারি গাছ কাটা, কৃষকদের পানি না দেওয়া ছাড়াও অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রেজাউল হক জানান, সমিতির মাধ্যমে টেন্ডারে গাছ কাটা হয়েছে। এতে আমার কোনো হাত নেই। আর সরকারি টাকা কোষাগারে জমা হয়েছে। আর কৃষকদের পানি দেওয়া না দেওয়া এটা আমার হাতে না। আমি এই অফিসের কর্মচারী মাত্র। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম জানান, সমিতির মাধ্যমে টেন্ডার করে আকাশমনি গাছ বিক্রি করেছে। এটা ওই সমিতির ব্যাপার তারা কিভাবে গাছ বিক্রি করবে। আমাদের সরকারি টাকা ট্রেজারির মাধ্যমে তারা পরিশোধ করেছে।
তিনি আরো জানান, যদি কেউ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত সরকারি গাছ কেটে আত্মসাৎ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পীযুষ কৃষ্ণ কুণ্ডু জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘন্টা, মে ১০, ২০২০
আরএ