এতে নির্দেশনা মেনে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে যেন মার্কেটে আগতরা এবং দোকানিরা কোনোভাবেই করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত না হন।
শনিবার (০৯ মে) রাতে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা দোকান মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ মোবাইল মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াহিয়া আলম উচ্ছ্বাস।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই বড় বড় মার্কেটের প্রবেশপথে জীবাণুমুক্তকরণ টানেল স্থাপন করেছি। এগুলোতে কেউ মার্কেটে প্রবেশ করার সময় তাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জীবাণুমুক্ত করবে। বেইলি টাওয়ার, হাসনাত স্কয়ারসহ কয়েকটি স্থানে এটি স্থাপিত হয়েছে। মার্ক টাওয়ার, সমবায় মার্কেট, আড়ং ভবনসহ অন্যান্য মার্কেটে স্থাপনের কাজ অব্যাহত রয়েছে। প্রতিটি মার্কেটের বাইরে অস্থায়ী পানির ট্যাংকও বসানো হয়েছে। এবং হাত ধোয়ার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা দ্রুত শারীরিক তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য থার্মাল স্ক্যানার বসানোর কাজ করছি। দোকানগুলোর মালিক কর্মচারী নিরাপত্তাকর্মীসহ সবাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।
গত ০৪ মে সরকারের এক নির্দেশনায় বলা হয়, সারাদেশের দোকান-পাট, শপিংমলগুলো আগামী ১০ মে থেকে প্রতিদিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। এর আগে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশনা ছিল। পরের নির্দেশনায় এক ঘণ্টা কমানো হয়।
সেক্ষেত্রে প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত সতর্কতা প্রয়োগ করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, রমজান ও ঈদ-উল-ফিতর সামনে রেখে সীমিত পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখার স্বার্থে দোকান-পাট খোলা রাখা যাবে। তবে ক্রয়-বিক্রয়কালে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে।
বড় শপিংমলের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শপিংমলে আগত যানবাহন অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২০
টিএ