বৃহস্পতিবার (০৭ মে) রাজধানীর মুগদা এলাকায় ‘জীবন ফুড ফ্যান্টাসি’ নামের এক দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, বাবা নারায়ণ ঘোষের মালিকানাধীন ওই দোকানে দুই ভাই জীবন ঘোষ (২৯) ও রাজীব ঘোষ (২৪) কাজ করতেন।
শুক্রবার (০৮ মে) নিহতের বাবা নারায়ণ ঘোষ বাদী হয়ে মুগদা থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-৩) দায়ের করেন। ক্লু-লেস এ মামলায় দ্রুততার সঙ্গে এ দিন রাতেই খুনি ছোট ভাই রাজীব ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শনিবার (০৯ মে) দুপুরে গ্রেফতার রাজীব আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রাজীবের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার নিজেদের দোকানের কাজ করছিলেন দুই ভাই। সন্ধ্যার খানিকটা আগে বড় ভাই জীবনের কাছে ১০০ টাকা চান রাজীব। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রাজীব বাক-বিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে রাজীবকে থাপ্পর মারেন জীবন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানের বাইরে চলে আসেন রাজীব। বাইরে তখন ইফতার সময় চলছিল, রাস্তায় তেমন মানুষ ছিল না। দোকানের শাটারের বাইরে থাকা একটি ইট নিয়ে ভেতরে ঢুকে রাজীব তার আপন বড় ভাই জীবনের মাথার পেছনে একাধিকবার আঘাত করেন। এতে জীবন মারা গেছেন ভেবে ভয়ে মোবাইল ফোন, দোকানের চাবি নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যান রাজীব।
নির্মম ওই হত্যাকাণ্ডের পর ভিকটিম জীবনের মরদেহ দোকানের ভেতরে ফেলে রেখে শাটার তালাবদ্ধ করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ইট রাস্তায় এবং দোকানের চাবি ম্যানহোলে ফেলে বাসায় চলে যান রাজীব।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সবুজ জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাশেদুল হাসান বলেন, চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী না থাকায় ও খুনি রাজীব দোকানের শাটার বন্ধ করে বাসায় চলে যাওয়ায় অপরাধী শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে রাজীবকে গ্রেফতার করা হয়।
রাজীব ঘটনায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার দেখানো স্থান থেকে রক্তমাখা ইট ও বাসার বাথরুম থেকে হত্যাকাণ্ডের সময় পরনে থাকা গেঞ্জি জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২০
পিএম/টিএ