শনিবার (৯ মে) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় তার কর্মস্থলে যোগ দেন তিনি। এসময় মামুনকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন ট্রাফিক ও থানা পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ।
এর আগে শনিবার (৯ মে) সকালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি একেএম মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে জানান, গত এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে যখন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর থেকে গার্মেন্ট কর্মীরা সরকারি বাধা উপেক্ষা করে নানা রকম যানবাহনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন তখন সার্জেন্ট মামুন তৎপরতার সঙ্গে দায়িত্বপালন করছিলেন।
সম্ভবত দায়িত্ব পালনকালে গত ১২ এপ্রিল তিনি করোনা সংক্রমিত হন। পরে গত ১৯ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়।
২৪ এপ্রিল তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তাকে আইসোলেশনে রেখে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মজিদুল ইসলাম চিকিৎসা দেন।
কিন্তু ২৯ এপ্রিল তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে জরুরিভাবে গত ১ মে রংপুরের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে পাঠানো হয়। মামুনের চিকিৎসাকালীন নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হলে গত ৭ মে তৃতীয়বারের মত করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে।
শনিবার সার্জেন্ট মামুনকে রংপুর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলে তিনি দুপুর ২টার দিকে কর্মস্থল গোবিন্দগঞ্জ থানায় আসেন।
এসময় গাইবান্ধা পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলামের পক্ষ থেকে তার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে স্বাগত জানান জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিআই নূর, গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি একেএম মেহেদী এবং গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক ও থানা পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২০
আরএ