শনিবার (৯ মে) দুপুরে ভাসানচরে দায়িত্বপালনকারী নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট আবদুর রশিদ বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।
তিনি জানান, শুক্রবার দুপুরে নারী-পুরুষসহ রোহিঙ্গাদের একটি দলকে আনা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে তাদের ভাসানচরের আশ্রয়ন প্রকল্পের ক্লাস্টার হাউজে সামাজিক দূরত্বে আলাদা করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের খাবার-দাবারের ব্যবস্থা সরকারিভাবে করা হচ্ছে এবং তাদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক রয়েছেন।
এর আগে, গত ৩ মে সাগরে ছোট একটি বোটে রোহিঙ্গাদের ভাসতে দেখে ২৯ জনকে নৌ-বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করে। এরপর তাদের ভাসানচরে আনা হয় এবং প্রত্যেককে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ভাসানচরে মোট ৩০৬ রেহিঙ্গাকে আনা হয়েছে। প্রথম দফায় ২৯ সজন তাদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ এবং বাকিরা নারী, দ্বিতীয় দফায় ২৭৭ জনের মধ্যে ১৬৮ জন নারী এবং বাকিরা পুরুষ। তাদের নিরাপত্তায় নৌ-বাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের আলাদা করে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে কিছুই জানাতে পারেননি নোয়াখালী জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে নৌ-বাহিনী ভালো বলতে পারবেন। ভাসানচরকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে নোয়াখালীকে হস্তান্তরই করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২০
এসএইচডি/এনটি