শুক্রবার (৮ মে) দুপুরে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নরসিংদী জেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহ আলম মিয়া।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ মে বিকেলে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজধানীর মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথে (আইপিএইচ) পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে আসা ফলাফলে নতুন ১৮ জনের করোনা পজিটিভ আসে। এর আগে থেকে ২ জন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন বলেও জানানো হয়।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে জেলা সদর উপজেলায় ১১ ও পলাশ উপজেলার ৭ জন রয়েছেন। এছাড়া আগে আক্রান্ত থাকা সদর উপজেলার ২ ব্যক্তির পুনরায় নমুনা পরীক্ষায় করোনায় পজিটিভ এসেছে। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখাসহ তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর আগে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গত এক মাসে এই জেলায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন ১৮৩ জন।
জেলা করোনা প্রতিরোধ জরুরি সেলের প্রধান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ইমরুল কায়েস বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলার ছয়টি উপজেলা থেকে মোট ১ হাজার ৪৫৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২০১ জনকে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে জেলার সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দেখা যাচ্ছে সদর উপজেলায়।
এ উপজেলায় এ পর্যন্ত ১০৯ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। এছাড়া রায়পুরায় ২৭ জন, পলাশে ১৭, শিবপুরে ১৮, বেলাবতে ২৫ ও মনোহরদীতে ৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় ১ হাজার ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টিনে থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে কেউ নেই। বর্তমানে জেলার বিভিন উপজেলার হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন প্রায় ৫৩ জন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের বড় অংশ স্বাস্থ্যকর্মী হলেও তালিকায় আছেন সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ।
এদিকে একই পরিবারের আক্রান্ত ৯ জন মাধবদী বাজারের একটি চারতলা ভবনের বাসিন্দা। শুক্রবার দুপুরে ওই ভবনটি লকডাউন ঘোষণা করেছেন নরসিংদীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহ আলম মিয়া।
নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহীম টিটন বাংলানিউজকে জানান, জেলায় করোনায় ১২৮ জন আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আর করোনায় মারা গেছেন ২ জন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২০
এসআরএস