শুক্রবার (০৮ মে) ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী এক বিবৃতিতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
বৃহস্পতিবার (০৭ মে) রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান তিনি। তবে ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, আসলাম রহমান দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। বিভিন্ন হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাও নিয়েছেন। বেশ কয়েকদিন ধরে বাসায় জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ দেখা দিলে গত সোমবার তিনি করোনা টেস্টের নমুনা দেন মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর বুধবার তার করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। এরপর সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আসলাম রহমানের বয়স হয়েছিল ৪৭ বছর। তিনি এক ছেলে, এক মেয়ে, স্ত্রীসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আসলাম রহমান একজন কবিও ছিলেন। ‘জ্যোস্নার শহরে একা’ নামে তার একটি কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। এছাড়া সাংবাদিকতা শুরুর আগে তিনি গানও করতেন। ‘যখনই আকাশ দেখবে, দেখবে তারারা ভাসছে’ নামে তার একটি গানের অ্যালবাম রয়েছে।
শুক্রবার (০৮ মে) জুমার নামাজের পর মাদারীপুরের কালকিনীতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২০
ডিএন/টিএ