তাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আসা কোনো রোগী বা স্বজনদের মাধ্যমে যেন চিকিৎসকরা করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত না হন, সেজন্য জেলা সদর হাসপাতালে ‘ডক্টরস সেফটি চেম্বার’ করে দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। সেফটি চেম্বারের ভেতরে থেকে ডাক্তারা রোগীদের চিকিৎসা দেবেন।
আগামী রোববার (১০ মে) চেম্বারটি আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, স্বচ্ছ কাঁচ এবং স্টিল দিয়ে ডক্টরস সেফটি চেম্বারটি তৈরি করা হয়েছে। এটি তৈরি করতে সময় লেগেছে সাতদিন। এ কাজে ছাত্রলীগকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, বর্তমান সংকটকালে নিজেদের জীবন বাজি রেখে চিকিৎসকরা আমাদের স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন। সেজন্য তাদের সুরক্ষার বিষয়টিও আমাদের ভাবতে হবে। কারণ হাসপাতালে আগত কোনো রোগীর মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ রয়েছে কিংবা আক্রান্ত সেটি বুঝার কোনো উপায় নেই। এক্ষেত্রে রোগীরা তথ্য গোপন করার কারণে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। সেজন্যই আমরা চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এই সেফটি চেম্বার করেছি।
এ ব্যাপারে জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেন বলেন, চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য এই চেম্বারটি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। এ চেম্বারের মাধ্যমে চিকিৎসকরা নিরপাত্তা বজায় রেখে রোগীদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন, সেবা দিতে পারবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রবাসীসহ ৫৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন দুইজন। আর সুস্থ হয়েছেন ২৮ জন। বাকিরা আইসোলেশনে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২০
আরএ