প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভপতিত্বে বৃহস্পতিবার (৭ মে) গণভবনে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ,২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
করোনা পরিস্থিতির কারণে সাধারণ ছুটিতে গত ২৬ মার্চ থেকে অফিস-আদালত বন্ধ রয়েছে।
বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন পার্লামেন্ট চালু না থাকায় আইন করা যাবে না। এজন্য জরুরিভিত্তিতে এ বিষয়ে অধ্যাদেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ বা তাদের পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবীদের এবং সাক্ষীদের উপস্থিতির মাধ্যমে মামলার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। সমগ্র বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ মহামারি রোধকল্পে এক মাসের অধিক সময় ধরে কতিপয় ব্যতিক্রম ছাড়া আদালতসহ সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। মানুষের সমাগম হয় এমন সব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ রয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে আদালত বন্ধ থাকায় মামলাজট যেমন বাড়ছে তেমনি বিচারপ্রার্থীরা বিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে এবং বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সুবিধার্থে ভিডিও কনফারেন্সিংসহ অন্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম করার জন্য আইনি বিধান প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
এজন্য ভিডিও কনফারেন্সিংসহ অন্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম করতে এই অধ্যাদেশের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপিরষদ সচিব বলেন, এই ব্যবস্থায় আসামিকে জেলখানায় রেখে, আইনজীবীকে বাসায় রেখে ও সাক্ষীকে অন্য জায়গায় রেখে ভিডিও কনফারেন্সিং ও অন্যান্য ডিজিটাল পদ্ধতি অ্যাপ্লাই করে বিচারকার্য করা সম্ভব হবে। এটাই হলো এই অধ্যাদেশের মূল বিষয়।
তিনি আরো বলেন, এখন আইন মন্ত্রণালয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করবে। আর পার্লামেন্ট বসার প্রথম দিনই এটি সেখানে উপস্থাপিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২০
এমআইএইচ/এএ