হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলিছুর রহমান উজ্জ্বল মঙ্গলবার (৫ মে) বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে চুনারুঘাট উপজেলার ৫ পুলিশ সদস্যসহ ৮ জন, নবীগঞ্জ উপজেলায় ১ স্বাস্থ্যকর্মীসহ ২ জন এবং বাহুবল ও লাখাই উপজেলায় একজন করে মোট দুইজন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে হবিগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত ৮৮ জনের মধ্যে নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী ২৫ জন এবং জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ৪ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৫ পুলিশ সদস্যসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ১৫ জন। সেই হিসেবে আক্রান্তদের ৪০ জনই করোনা যোদ্ধা। অন্যান্যরা নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এদের মধ্যে থেকে চুনারুঘাট উপজেলায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সুস্থ হয়েছেন সর্বপ্রথম শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি। এছাড়া লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আক্রান্ত এক চিকিৎসকের পরপর দু’টি নমুনার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আর একটি রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই তাকে সুস্থ ঘোষণা করা হবে।
এদিকে সিলেট বিভাগের মধ্যে হবিগঞ্জেই সর্বোচ্চ সংখ্যক লোক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক হারে আক্রান্ত হয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। যে কারণে করোনার ‘রেড জোন’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে হবিগঞ্জকে।
অন্যদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ মনে করছে, হবিগঞ্জে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের অন্যতম কারণ করোনার ‘ক্লাস্টার’ এলাকা নারায়ণগঞ্জ থেকে ফেরত আসা লোকজন। এছাড়া ঢাকাসহ অন্যান্য স্থান থেকে আগতদের মাধ্যমেও বেড়েছে সংক্রমণ।
হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলেছুর রহমান উজ্জ্বলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১১ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা এক গাড়ি চালকের মাধ্যমে করোনার আক্রান্ত হওয়া শুরু হয় হবিগঞ্জে। এরপর প্রায় প্রতিদিনই বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। যাদের অধিকাংশই নারায়ণগঞ্জ ফেরত। যে কারণে তারা মনে করছেন নারায়ণগঞ্জ থেকে ফেরত আসা লোকজনের মাধ্যমেই হবিগঞ্জে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২০
আরএ