শনিবার (০২ মে) শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়৷
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ ধারাবাহিকতায় রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরীতে দৈনিক ১ হাজার দুইশ লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও নিত্য-প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন চলছে।
শিল্পনগরীতে অবস্থিত ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘টিম ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড’ প্রতিদিন ১০০ মিলি আকারের ১২ হতে ১৫ হাজার বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন করছে।
পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি জীবনরক্ষাকারী বিভিন্ন প্রকারের ১০ হাজার প্যাকেট ওষুধ উৎপাদন করছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা ।
এছাড়া, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শিল্পনগরীর আরও ৩টি প্রতিষ্ঠান ‘অশোকা ল্যাবরেটরি’, ‘হকস্ ফার্মা’ এবং ‘শাহী ল্যাবরেটরি’ সুনামের সাথে ইউনানী/ আয়ুর্বেদিক ওষুধ উৎপাদন করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠান তিনটিতে সাধারণ জ্বর, সর্দি, হাঁপানিসহ জটিল ও কঠিন রোগের ওষুধ উৎপাদন কার্যক্রম চালু রয়েছে।
রাজশাহী বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক জাফর বায়েজীদ জানান, শিল্পনগরীর কারখানাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শ্রমিকরা পণ্য উৎপাদন করছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কারখানাগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সরকারের নির্দেশনায় কারখানাগুলোতে পণ্য উৎপাদন, পরিবহন ও সরবরাহ চেইন অব্যাহত রাখতে বিসিকের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে প্রায় ৯৭ একর জমির উপর রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরী গড়ে তোলা হয়। এতে ৩২৫টি শিল্প প্লটের মধ্যে ২০৪টি শিল্প ইউনিট সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এ শিল্পনগরীতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
শিল্পনগরীতে উৎপাদনরত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৪৬টি খাদ্য ও খাদ্য সহায়ক উৎপাদনকারী কারখানা রয়েছে। এগুলোতে নিয়মিত চাল, ডাল, আটা, ময়দা, সুজি, সেমাই, চানাচুর, বিস্কুট, কেক, পাউরুটি, সরিষার তেল, আইসক্রিম, বিশুদ্ধ খাবার পানি, গুঁড়া মরিচ, গুঁড়া হলুদ ইত্যাদি উৎপাদিত হচ্ছে।
এর মধ্যে ‘নোভা এশিয়া এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ’ নামে প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের শতভাগ আমেরিকা ও কানাডায় রপ্তানি করছে বলে জানান শিল্পনগরী কর্মকর্তা মো. ওয়ায়েস কুরুনী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২০
জিসিজি/এমএইচএম