শুক্রবার (০১ মে) সকালে আক্রান্ত ওই প্যানেল চেয়ারম্যানের সংস্পর্শে আসা ২৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২ মে) রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সহকারী কমিশনার (ভূমি), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও হাসপাতালের আরএমওসহ আরও ১০ থেকে ১২ জনের নমুনা পাঠানো হবে।
গত ২৯ এপ্রিল রাতে চরগাজী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের করোনা শনাক্ত হয়। এর আগে ২২ এপ্রিল পরীক্ষার জন্য তার নমুনা দেন। কোনো উপসর্গ না থাকায় তিনি এসময় ত্রাণ বিতরণ ও জনসমাগমে অংশ নেওয়া অব্যাহত রেখেছিলেন।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার আগে তিনি ইউনিয়নে জেলেদের খাদ্য সহায়তাসহ প্রায় ৪০০ মানুষের মধ্যে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করেন। এমনকি গত ২৯ এপ্রিল দুপুরে ওই চেয়ারম্যান সঙ্গে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মোমিন ত্রাণ বিতরণ করেছেন।
রামগতি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, আমি জানতাম না ওই প্যানেল চেয়ারম্যান পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠিয়েছেন। তার করোনা পজেটিভ আসার পর থেকে আমি হোম কোয়ারেন্টিনে আছি।
ওই ইউনিয়নের সব মেম্বার, গ্রাম পুলিশ ও সচিবের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আমি নিজেও নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠাবো। ওই ইউনিয়নে যারাই প্যানেল চেয়ারম্যানের সংস্পর্শে এসেছেন সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য পরার্মশ দিয়েছি।
রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. কামনাশিস মজুমদার বলেন, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ব্যক্তিদের নমুনা নেওয়ার সময় প্যানেল চেয়ারম্যানের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর তার সংস্পর্শে এসেছেন এমন ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে। ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি ও চিকিৎসকসহ আরও ১০ থেকে ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, মে ০১, ২০২০
এসআর/আরবি/