ঢাকা: রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড থেকে ৬০টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ বুধবার র্যাবের হাতে আটক হয়েছেন চার বন্ধুসহ ইয়াবাসেবী এক দারোগা।
আটককৃতরা হচ্ছেন- পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন (৩৫), নওরীন ইসলাম (২০), মাকসুদুল আলম (২৮), আব্দুল আহাদ আলীম (২২) ও খালেদ আহসান (২২)।
জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে এলিফ্যান্ট রোডের আল্পনা প্লাজার সামনে গাড়ি থামিয়ে চার বন্ধু নেশার আড্ডায় ব্যস্ত ছিলেন। এক পর্যায়ে তারা প্রকাশ্যে ইয়াবা সেবন শুরু করলে স্থানীয় লোকজন বাধা দেয়। এ সময় দারোগা রুহুল এগিয়ে এসে বন্ধুদের রক্ষা করতে জনতার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মারতে যান। তিনি কোমর থেকে পিস্তল বের করে তেড়ে গেলে জনতার মধ্যেও উত্তেজনার তৈরি হয়।
ঠিক সেই মুহূর্তে র্যাব-২’র কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। ঘটনা পর্যবেক্ষণের পর তারা দারোগা ও তার বন্ধুদের চ্যালেঞ্জ করে। প্রকাশ্যে তল্লাশি চালিয়ে দারোগা ও তার বন্ধুদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে লুকানো ৬০টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার র্যাব।
সঙ্গে সঙ্গেই চার বন্ধুসহ দারোগাকে আটক করে র্যাব। পাশাপাশি আটক করে দারোগার ব্যবহৃত কালো রঙের নিশান জিপ ও তার বন্ধুদের একটি প্রাইভেটকার।
এ সময় দারোগা রুহুল আমিন র্যাব কর্মকর্তাকে ঘুষ বাবদ এক লাখ টাকার একটি ব্যাংক চেক দিতে চান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। তবে তার কোনো কথাতেই সায় দেয়নি র্যাব।
এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা করে।
সন্ধ্যায় বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি কে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক র্যাব কর্মকর্তা জানান, আটক পুলিশ কর্মকর্তার নাম রুহুল আমিন। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের হাজারীবাগ থানায় কর্মরত ছিলেন। মাত্র দুই মাস আগে তাকে খুলনা রেঞ্জে বদলি করা হয়। তবে রুহুল আমিন তার নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি দেখিয়ে ঢাকাতেই অবস্থান করতে থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১০