শনিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে তার মৃত্যু হয়। তিনি ওই উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মৃত ব্যক্তির করোনা উপসর্গ ছিল। ইতোমধ্যে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিবেদন এলে জানা যাবে লোকটি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি-না।
এদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ায় উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নে ওই ব্যক্তির নিজ বাড়ি এবং একই উপজেলার তিতখাই গ্রামের তার শ্বশুরবাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। হবিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাখাওয়াত হাসান রুবেল বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, গত ২১ এপ্রিল শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই ব্যক্তি হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যার আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। করোনার উপসর্গ থাকায় পরের দিন ২২ এপ্রিল সেখান থেকে তাকে সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। পরে সেখানে নেওয়া হলে তাকে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। শনিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
চেয়ারম্যান আরও জানান, মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালিয়েই জীবিকা নির্বাহ করতেন। হাসপাতালে ভর্তির আগে প্রায় ১৫ দিন তিনি তার শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। যে কারণে তার নিজ বাড়িসহ শ্বশুড়বাড়িটিও লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২০
এসআরএস