ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দুই কূল হারানো ৪০ শ্রমিকের গন্তব্য অজানা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২০
দুই কূল হারানো ৪০ শ্রমিকের গন্তব্য অজানা ট্রাকে বসে আছেন শ্রমিকরা। ছবি: বাংলানিউজ

হবিগঞ্জ: যাযাবরের মতো ঘুরছেন করোনা পরিস্থিতিতে পটুয়াখালী থেকে হবিগঞ্জে আসা একদল কর্মহীন শ্রমজীবী। দলের ৪০ জনের সবাই সিলেট বিভাগের অধিবাসী। কর্মসূত্রে ছিলেন পটুয়াখালী। ট্রাকে করে এসে ধান কাটার শ্রমিক পরিচয় দিয়ে হবিগঞ্জ ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। আবার লকডাউন থাকায় ফিরতে পারছেন না পটুয়াখালীও। এখন তাদের গন্তব্য অজানা।

শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) একটি ট্রাকে ধান কাটার শ্রমিক পরিচয় দিয়ে হবিগঞ্জ জেলায় প্রবেশের চেষ্টা করেন তারা। মাধবপুর উপজেলায় স্থাপিত পুলিশ চেক পোস্টে এলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

পটুয়াখালী জেলাও অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন থাকায় সেখানেও প্রবেশের সুযোগ নেই। যে কারণে ৩৭৫ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করার পর নিজ জেলার প্রবেশমুখে এসে বাড়ি না ফেরার কষ্ট নিয়েই অজানার উদ্দেশ্যে পুনরায় পাড়ি জমাতে হলো ওই শ্রমজীবীদেরকে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ট্রাকে করে ধান কাটা শ্রমিক পরিচয়ে অন্তত ৪০ জন লোক হবিগঞ্জে প্রবেশের চেষ্টা করেন। জেলাটি লকডাউন থাকায় তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগেও ৪টি বাসে আসা লোকজনকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ট্রাকে করে আসা শ্রমজীবীদের বাড়ি হবিগঞ্জ, সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলায় এবং পটুয়াখালীতে চাকরি করতেন তারা। এদের মধ্যে প্রায় ১৫ জনের বাড়িই হবিগঞ্জে। ট্রাকের ওপরে ত্রিপাল দিয়ে ধান কাটার শ্রমিক পরিচয়ে ছদ্মবেশে আসেন তারা। করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, পটুয়াখালী অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এখান থেকে যদি কেউ গিয়ে থাকেন তারা লুকিয়ে গেছেন। বিষয়টি আমাদের জানা নেই। ওই লোকদের পুনরায় সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে স্থানীয় সচেতন মহলের কয়েকজন বাংলানিউজকে বলেন, বাইরের জেলায় যারা শ্রমজীবী তারা করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে দিনমজুরেরা তো একেবারেই অসহায় অবস্থায়। ভিনদেশে খাবার না পাওয়াটাই বাস্তবতা। সেজন্যই হয়তো তারা নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। যেহেতু করোনা সংক্রমণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সেজন্য তাদের বাড়ি যেতে না দিলেও, সরকারিভাবে একস্থানে থাকার শর্ত দিয়ে জায়গা সংকুলান করে দিলে ভালো হতো।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।