দিনাজপুর: অবশেষে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির তিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দিতে সরকার বুধবার মূল্য নির্ধারণী এক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে জমির মূল্য নির্ধারণী এ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, বুধবার দুপুর পৌনে ২টার সময় সরকারের একটি প্রতিনিধি দল এ সময়ে আলোচনা করতে কয়লা খনিতে যান।
সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) আহম্মদ উল্লাহ্, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জসিম উদ্দিন, পরিচালক, অপারেশন ও মাইন পেট্রোবাংলার মোল্লাহ আবেরুল ইসলাম, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামরুজ্জামান, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক জামাল উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তানজিলুর রহমান।
প্রতিনিধি দলটি মনমেলা মিলনায়তনে তিগ্রস্তদের নিয়ে গঠিত জীবন ও সম্পদ রা কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে খোলামেলা আলোচনায় বসেন। আলোচনায় ৬শ’ ৪৬ একর জমি অধিগ্রহণসহ তিগ্রস্তদের পুর্ণবাসন ও তিপূরণ দানে একটি মূল্য নির্ধারণী প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রতিনিধি দলটি।
প্যাকেজটিতে ৫ ক্যাটাগরিতে অবনমিত জমির মূল্য নির্ধারণসহ তিপূরণের কথা উল্লেখ করা হয়। এগুলো হচ্ছে, কৃষি জমি প্রতি একর ২০ লাখ, বাড়িঘর প্রতি একর ২৫ লাখ, দোকানপাটের জন্য প্রতিজনকে ৫০ হাজার এবং ভূমিহীনদের পরিবার প্রতি ২ লাখ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্যাকেজটির পূর্ণবাস্তবায়নে সরকারের ১শ’ ৯০ কোটি টাকা খরচ হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলনের কারণে খনি সংলগ্ন কালুপাড়া, বলরামপুর, পাথরাপাড়া, বড়পুকুরিয়া, বাঁশপুকুর, মৌপুকুর, জিগাগাড়ি ও পাতিগ্রামসহ ১১টি গ্রামের ২ হাজার ৬শ ঘরবাড়িতে ব্যাপক ফাটল দেখা দেয় এবং ফসলি জমি দেবে যায়। কয়লাখনির আশেপাশের তিগ্রস্ত ১১টি গ্রামের সহস্রাধিক নারী-পুরুষ ভূমি ও সম্পদ রা কমিটির ব্যানারে ৪ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন শুরু করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১০