ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সাকিবের ফার্মের শ্রমিকদের বেতন নিয়ে বিভ্রান্তি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২০
সাকিবের ফার্মের শ্রমিকদের বেতন নিয়ে বিভ্রান্তি

সাতক্ষীরা: আন্দোলনের পর বুধবার (২২ এপ্রিল) সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের শ্রমিকরা বেতন পাচ্ছেন- গণমাধ্যমে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লেও বেতন দেওয়ার বিষয়টি এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় ঝুলছে।

এ বিষয়ে সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের তত্ত্বাবধায়ক সগীর হাসান পাভেল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শ্রমিকদের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বেতন দিতে চেয়েছি। সে অনুযায়ীই দেব।

বুধবার শ্রমিকরা বেতন পাচ্ছেন কি না- এমন সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। হলে জানাবো।

যদিও ফার্মের জেনারেল ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার বিকেলের মধ্যেই শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, সুন্দরবনের কোলঘেঁষা আইলা বিধ্বস্ত সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনীতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১৬ সালে রপ্তানিমুখী সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড নামে একটি কাঁকড়া খামার গড়ে তোলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

তার পক্ষে ফার্মটি দেখাশোনা করতেন তারই আরেক সতীর্থ সগীর হোসেন পাভেল।

গত কয়েক বছর ভালভাবে চললেও বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে কাঁকড়া রপ্তানি বন্ধ রয়েছে ফার্মটির।

এতে জানুয়ারির পর থেকে বেতন বন্ধ হয়ে যায় শ্রমিকদের।  

সোমবার (২০ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি জানার পরই শিগগিরই শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন সাকিব উল্লেখ করে সগীর হাসান পাভেল আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর ও আমেরিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আমাদের অনেক অর্ডার ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে সেগুলো বাতিল করেছে তারা। এ কারণে আমরা একটু সমস্যায় পড়েছি। ৩০ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধ করার ব্যাপারে শ্রমিকদের সঙ্গে আগেই কথা বলেছিলাম এবং তারা এতে রাজিও হয়েছিলো। কিন্তু তারা কেন হঠাৎ ২০ তারিখে আন্দোলন করলো বুঝতে পারলাম না।

তিনি আরও বলেন, জানুয়ারি মাস পর্যন্ত সব শ্রমিকের বেতন পরিশোধ আছে। বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতির কারণে ফেব্রুয়ারি থেকে ফার্মের কাজ সীমিত করি। এখান থেকে কাঁকড়া প্রসেসিং করে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। পণ্য রপ্তানি করে বেতন পরিশোধের টার্গেট নিয়েছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছিল না। সে কারণে আগে যেখানে ২শ শ্রমিক কাজ করতো সেখানে মাত্র ৩০ জন নিয়ে কাজ করছিলাম।

তিনি আরও বলেন, বেতন বকেয়ার বিষয়ে সাকিব জানতেন না। তবে তিনি জানতেন আমাদের অনেক প্রডাক্ট রপ্তানির অপেক্ষায় পড়ে আছে। সাকিবই বলেছিলেন, করোনার কারণে ফেব্রুয়ারি থেকে ফার্ম বন্ধ করতে। তবে এ ঘটনার পরে বিষয়টি সাকিবকে জানিয়েছি। তিনি দ্রুত সমাধান করতে বলেছেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে চার মাসের বেতন না পেয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনীতে অবস্থিত সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের প্রায় দুই শত শ্রমিক আন্দোলন শুরু করেন। তবে, শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখে আন্দোলন করায় র‌্যাবের একটি টহল টিম শ্রমিকদের হটিয়ে দেয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।