শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এবছর শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ৯ হাজার ৪১২ হেক্টর (হাওর এলাকায় ৩ হাজার ৬৫০ হেক্টর এবং সমতলে ৫ হাজার ৭৬২ হেক্টর) জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে হাওরাঞ্চলের প্রায় ৩৫ শতাংশ ধান (ব্রি- ২৮ প্রজাতির) কাটার উপযোগী হয়েছে এবং প্রায় ২০ শতাংশ ধান কৃষকের ঘরে উঠে গেছে।
আশা করা যায়, আগামী এক সপ্তাহ পর সব ধরনের ধানই পাকতে শুরু করবে। আর এই সময়টাতে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনোরকম ক্ষতি ব্যতিরেকে কৃষকের ধান ঘরে তোলার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হতে পারে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৯ সালের বোরো ধানের মোট উৎপাদন হয়েছিল ৩৫ হাজার ৬৮২ মেট্রিক টন। এবার আমরা লক্ষ্যমাত্রা ধরেছি ৩৮ হাজার মেট্রিক টনের কাছাকাছি। তবে আমরা আশা করছি এবার বোরো উৎপাদন ৪৫ হাজার মেট্রিক টনের উপরে হবে। গত বছরের ধানে চিটার সমস্যা এবার ছিল না।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের চলমান করোনা যুদ্ধে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে বোরো ধান। আমরা চেষ্টা করছি ক্ষেতের শতভাগ ধানই ঘরে তুলতে। স্বাভাবিকভাবেই শ্রীমঙ্গলে ধান কাটার শ্রমিকের সংকট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সাধারণত চা শ্রমিকদের একটা অংশ এ কাজটিতে প্রতিবছরই যুক্ত হয়ে থাকেন; এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।
স্বেচ্ছাশ্রমের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষুদ্র কৃষককে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে সহায়তা করা, দুর্যোগকালীন (ঝড়-বৃষ্টি) তাৎক্ষণিক বাড়তি শ্রমের প্রয়োজন হলে স্বেচ্ছায়/ যার যার সুবিধামতো এগিয়ে আসা এবং ধান কাটার সামগ্রিক কাজটিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে সচেতনকরণ।
ছাত্র, যুবক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যার যার প্রতিবেশী বা সুবিধাজনক আঙ্গিকে এ কাজটিতে যুক্ত হয়ে করোনার বিরুদ্ধে এ যুদ্ধে নিজেকে শামিল করতে পারেন। উপজেলা প্রশাসন তাদের প্রত্যেককে প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান শ্রীমঙ্গল ইউএনও।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২০
বিবিবি/এএ