রোববার (১৯ এপ্রিল) ‘করোনা বিপর্যয় মোকাবিলায় বাংলাদেশের জাতীয় ও স্থানীয় এনজিও’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছেন এনজিও ও সুশীল সমাজ সংগঠনের নেতারা।
কোস্ট ট্রাস্টের রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাসম্ভব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উৎপাদন ও সরবরাহ কাজ চালিয়ে যেতে হবে, কারণ এটাই দেশের অর্থনীতির প্রাণ।
ডিজাস্টার ফোরামের নইম গওহর ওয়ারা বলেন, করোনা বিষয়ক সচেতনতা এখনও অনেকটাই শহুরে মধ্যবিত্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ। গ্রামে গ্রামে সচেতনতা বাড়াতে এনজিও সিএসওকে কাজে লাগাতে হবে।
এডাবের একেএম জসিম উদ্দিন বলেন, বর্ষা মৌসুম সমাগত প্রায়। করোনাক্রান্তির পাশাপাশি আমাদের সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার ব্যাপারেও আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।
এনজিও-সিএসওদের পক্ষ থেকে সাতটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো, এই করোনাক্রান্তি মোকাবিলার সব সমন্বয় কাজে স্থানীয় এনজিও ও সুশীল সমাজ সংগঠনকে নিয়ে স্থানীয় পর্যায়েই সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে, গণমানুষের আস্থা ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার জন্য করোনা দুর্যোগ সংক্রান্ত সরকারি বিদ্যমান তথ্য প্রকাশের পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে হবে, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থা সরাসরি প্রকল্প বাস্তবায়নে না গিয়ে তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও কারিগরি সহায়তার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবেন এবং বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় সংগঠনকে সরাসরি তহবিল হস্তান্তর করবেন, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মরত এনজিও ও সিএসওকে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ করতে হবে এবং এগুলো বাস্তবায়নে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
কোস্ট ট্রাস্ট ও বিডি সিএসও কো-অর্ডিনেশনের রেজাউল করিম চৌধুরী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করে। বক্তব্য রাখেন, নিরাপদের আব্দুল হাসিব খান ও হাসিনা আক্তার মিতা, এফএনবির মো. রফিকুল ইসলাম, এডাবের একেএম জসিম উদ্দিন, নাহাবের ড. এহসানুর রহমান, ডিজাস্টার ফোরামের নইম গওহর ওয়ারা এবং পরামর্শক আব্দুল লতিফ খান। এছাড়াও সংবাদে সম্মেলনে যুক্ত হন ও বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী থেকে প্রাণ-এর নুরুল আলম মাসুদ, ময়মনসিংহের টিইউএসের ফারুক আহমেদ, বাগেরহাট থেকে উদয়ন বাংলাদেশের শেখ আসাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২০
জিসিজি/এএ