রোববার (১৯ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন করোনা আইসোলেশন ইউনিট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল ।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে হাসপাতালে ভর্তির পর রাতে মারা যাওয়া এনামুল হকের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহীতে পাঠানো হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এনামুল হক নামে ওই ব্যক্তি জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও পাতলা পায়খানা নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৬টার দিকে বগুড়ার আইসোলেশন ইউনিট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর পরই তার নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করে পরদিন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে পুলিশের পক্ষ থেকে তার বাড়ি লকডাউন করা হয়।
মৃত এনামুলের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি পেশায় একজন মুদি দোকানদান ছিলেন। মৃত্যুর প্রায় ৫ দিন আগে থেকে তিনি জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন। এরপর তাকে স্থানীয় এক গ্রাম্য চিকিৎসকের ওষুধ খাওয়ানো হয়। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি বরং তার পাতলা পায়খানা শুরু হয়। এক পর্যায়ে এনামুল হককে বৃহস্পতিবার বিকেলে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২০
কেইউআই/এবি