জানা গেছে, শনিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে অন্তত ৭০/৮০ জন যাত্রী নিয়ে সিলেটে পৌঁছায় ট্রেনটি।
রেলওয়েতে কর্মরত লোকজন ও নিরাপত্তারক্ষীদের সহায়তায় আন্তঃনগর ট্রেনের ২টি কোচে করে যাত্রীদের বহন করা হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, ট্রেন থেকে অন্তত ৭০/৮০ জন লোক সিলেটে এসে পৌঁছান। যারা বিভিন্নভাবে নিজেদের চাকরিজীবী বলে জাহির করেন। এরপর স্টেশন প্লাটফর্ম থেকে বেরিয়ে সিএনজি অটোরিকশা যোগে অনেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, রেলওয়ের ৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের স্টাফদের বেতনের টাকা নিয়ে ঢাকা থেকে আসেন। কিন্তু সিলেটে পৌঁছার পর ওই ট্রেন থেকে অন্তত ৭০/৮০ জন যাত্রী নামতে দেখা যায়।
অভিযোগ উঠেছে, বেতনের টাকা আনার অজুহাতে দু’টি কোচে করে ঢাকা থেকে যাত্রী তোলা হয়। যাত্রীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকাও নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ের এক কর্মকর্তা।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের ৫ জন লোক বেতন নিয়ে আসার কথা থাকলেও ওই ট্রেন প্রতিটি স্টেশনে থেমে থেমে বেতন পৌঁছে দিয়ে এসেছে। তবে পরে জানতে পারলাম রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজনসহ ২৪ জন সিলেটে এসে পৌঁছেছেন। অন্য কোনো লোকজন ট্রেনে আসেননি। ’
এ বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক এমদাদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর স্টেশন ম্যানেজারকে ফোন দিয়েছিলাম। তিনি একেক সময় একেক কথা বলছেন। কখনো বলছেন পাঁচজন আসার কথা, আবার কখনো বলছেন নিরাপত্তারক্ষীসহ ২৪-২৫ জন এসেছেন। কিন্তু লোক আরও বেশি এসেছে জানতে পেরেছি। আমরা এ বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের রেল স্টেশনে পাঠিয়েছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২০
এনইউ/এজে